ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৫/১২/২০২২ ১০:১৫ এএম

বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ইতিমধ্যে সকল বয়সীদের পছন্দের একটি জায়গার নাম হয়ে দাড়িয়েছে নির্জন সোনাদিয়া দ্বীপ।

দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার উত্তর পশ্চিম ও মহেশখালী উপজেলার দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থিত। প্রতি সপ্তাহে সোনাদিয়া দ্বীপে প্রায় ৩ থেকে ৪শ’ পর্যটক বেড়াতে আসে। বিশেষ করে শীতে পর্যটকদের আনাগোনা দ্বিগুন বেড়ে যায়।

তবে নির্জন হওয়ায় অনেক পর্যটকই দ্বীপে ঘুরতে এসে লিপ্ত হন মাদক সেবনের মত অনৈতিক কাজে। এছাড়াও আইনশৃংখলা বাহিনীর অনিয়মিত অভিযানে বেড়েই চলেছে ইয়াবাসহ মানবপাচারের ব্যবসা। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রয়েছে ভ্রমন বিষয়ক হাজার হাজার গ্রুপ।

এসকল ভ্রমন বিষয়ক গ্রুপে নির্দিষ্ট পরিমানে ফী দিয়ে অনেকেই আসেন এই সোনাদিয় দ্বীপে ঘুরতে। যার বেশিরভাগই থাকে নারী পুরুষের যুগল। এখন এ সকল যুগলেরা আদতে বিবাহিত নাকি অবিবাহিত অবস্থাতেই দ্বীপে এসে রাত্রিযাপন করেছে নিয়ে কারও কোনো পদক্ষেপ নেই । এছাড়া পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য দ্বীপে গড়ে উঠেছে চারটি অবৈধ কটেজ। তারা তাবুর মাধ্যমে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু দ্বীপের নির্জন তাকে কাজে লাগিয়ে বেশিরভাগ পর্যটকরাই মাদক সেবনের মত অনৈতিক কাজ করেন।

দ্বীপের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা না থাকায় এখানে বিনা বাধায় মাদক সেবন সহ নানান অপরাধমূলক কাজ নিরাপদেই করতে পারে তারা। আর এসবে তাদের সহযোগীতা করে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপ।

হাসান তারেক নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে সোনাদিয়া সফরে গিয়েছিলাম। তখন সেখানে নারী-পুরুষ একসাথে মাদক সেবন ও অনৈতিক চলাফেরা করছে এমন দৃশ্য দেখেছিলাম। সোনাদিয়ার মানুষ রক্ষণশীল। এখানে এসব মাদক ও অনিয়ন্ত্রিত চালচলন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বীপের কিছু লোকজন জানায়, দ্বীপটি মহেশখালী উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে এবং যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান থাকেনা। এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে ট্রলারে করে মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে সোনাদিয়ার চিহ্নিত দুটি চক্র। তারা দ্বীপ থেকে ইয়াবা গুলো অন্যত্র সরবরাহ করে থাকে।

স্থানীয়রা আরো জানায়, পর্যটকের বেশে সোনাদিয়া দ্বীপে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী যাতায়াত করে। তারা ফেরার সময় ব্যাগের মধ্যে ইয়াবা নিয়ে আসে। এছাড়াও মানবপাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই সোনাদিয়া দ্বীপ।

এই ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব কুমার চৌধুরী বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে পুলিশি টহল আরো জোরদার করতে সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও সোনাদিয়া দ্বীপটি পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে ডিসি’র মতবিনিময়

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সাথে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে ...

কক্সবাজারে দুই শিশুসহ মা কারাগারে, প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দাদের মানববন্ধন

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দুই শিশুসহ এক নারীকে ...