এম ফেরদৌস, বিশেষ প্রতিবেদক, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ১৭/০৩/২০২৫ ১:১৮ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় ফের বেড়েছে মাদক কারবার। চলতি মাসেই প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বালুখালী কেন্দ্রীক এলাকাগুলো থেকে ২ লাখেরও বেশি পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। পাচারকারী পালিয়ে গেলেও আটক হচ্ছে না গডফাদাররা। ফলে মাদক কারবার বন্ধ হচ্ছে না।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বালুখালী কেন্দ্রীক নতুন-পুরাতন মাদকের অসংখ্য সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারবারিরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ওপার থেকে এপারে মাদক ডুকাচ্ছে।

ধামনখালী ও রহমতের বিলসীমান্তে একাধিক মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের তথ্য উঠে এসেছে। সীমান্ত কেন্দ্রীক বাড়ি হওয়ার সুবাধে তারা অনায়সে এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।

সীমান্তে দায়িত্বে থাকা ৩৪ বিজিবির সদস্যদের তৎপরতায় চলতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।

প্রশাসন কঠোর থাকার পরেও রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে সীমান্তের কারবারিরা দেদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব কারবারিদের মধ্যে গডফাদার হিসাবে মোহাম্মদ মনিরসহ একাধিক সিন্ডিকেটের নাম শুনা গেছে এলাকাবাসীর কাছে।

জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম (৩৮) ওই এলাকার জবর মুল্লুকের ছেলে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি মোস্তাক ও মোক্তারের আপন ছোট ভাই । বর্তমানে সে “একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। সে ওই চাকরির আড়ালে মায়ানমারের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রোহিঙ্গা নবী হোসেনের আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় তার মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ায় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও পার পেয়ে যায় সে। হত্যা মামলা ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় বর্তমানে চাকরি থেকে মনির’কে ওএসডি অবস্থায় রাখা হয়েছে বলেও জানা যায়। বর্তমানে তার মাদক ও হত্যা মামলা চলমান রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মনিরের ছোট ভাই শেফু বছর দেড়এক আগে বার্মাইয়া নবী হোসেনের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অপকর্ম ও মাদক এবং স্বর্ণ চালান নির্বিঘ্নে করতে নবী হোসেনের ডেরায় থাকতো। সেই সুবাধে মনির সুযোগ পেয়ে এসব কাজে জড়িয়ে পড়েন।

প্রশাসনিক সুত্রে জানা গেছে, ওসমান নামে এক পাচারকারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মনির নামে একজনের নাম পাওয়া যায়। তার সুত্র ধরে মনিরের আস্তানাও অভিযান চালানো হয়ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাওয়ার আগেই সবাই পালিয়ে যায়। মনির অনেক তীঘ্ন বুদ্ধির মানুষ। সে অনেক লেভেল পার হয়ে এসব হ্যান্ডওভার করেন। কারবারে সক্রিয় থাকলে আগে আর পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেই।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্য বা মিথ্যা কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেনের স্পষ্ট বক্তব্য মাদক কারবারে যাকে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে জোরদার রয়েছে। নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রদূত ...

কক্সবাজারে বাস- সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও যাত্রী নিহত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। ...

সরকার ও এনজিও প্রতিনিধি পরিদর্শন করলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে কৃষকদের সর্বনাশ!

কক্সবাজারের উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই আবারও ফসলি জমি ও দোকানপাটে ...