প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দল না হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপিই দেশের প্রধান বিরোধী দল। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিপিং এর সফরেও এই প্রমাণ স্পষ্ট। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিভাবে বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পেছনের সারিতে রাখার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হচ্ছে বারবারই।
যদিও আওয়ামী লীগ নিজেও বিএনপিকেও এখনো রাজনীতির মাঠে প্রতিদ্বন্দি মনে করে। সংসদে ও সংসদের বাইরে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি জোটের নেতারা বিএনপিকে নিয়েই আলোচনায় ব্যস্ত থাকেন।
অথচ দেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিকরা এলে আওয়ামী লীগ সরকার চেষ্টা করে কোনোভাবেই যেনো বিএনপি এবং বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক না হয়। এরজন্য গণমাধ্যমেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে দেশের এ পর্যন্ত যেসব রাষ্ট্র প্রধান ও কূটনীতিকরা এসেছেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বাধা এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিএনপিকেই দেশের প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল মনে করে। বাংলাদেশ সফরে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রীয় সফরে আসা এসব অতিথিদের শিডিউলে সরকার কিছুটা প্রভাব রাখতে পারে এবং সরকার পক্ষ বিএনপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে বিদেশীদের নিরুৎসাহী করার চেষ্টা করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্ব যেনো বিষয়টি বুঝতে না পারে , সরকার সেখানে কৌশলে শিডিউলে সময় কমিয়ে আনে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে আসা রাষ্ট্র প্রধানরা খালেদা জিয়ার জন্য শিডিউল রাখেন। সেক্ষেত্রে সরকারি শিডিউলে ৫ মিনিট রাখা হলে আলোচনায় সেটি কখনো কখনো ৪০ মিনিট ছাড়িয়ে যায়।
গত বছরের জুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে সরকারের পক্ষ থেকে অনেকভাবেই চেষ্টা করা হয়েছে মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাত না করানোর। শেষ পর্যন্ত মোদির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় ৫ মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাতের। যদিও মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সময় বেড়ে হয়েছে ৪০ মিনিট। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সফর করেছেন জাপাতের প্রধানমন্ত্রী শি জে আবে। সেই সময়ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো-এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আবে দেখা হবেনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাপানের আগ্রহেই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৯ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এক ঘন্টার বৈঠক করেন।
জানা গেছে, এবারও শি জিনপিং এর সফরে খালেদার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছিলো নেতিবাচক। কিন্তু চীন-বিএনপি সম্পর্ক সব সময় কিছুটা উষ্ণ হওয়ায় সরকার প্রভাব দেখায়নি। তাছাড়া গত দুই বছরে সংসেদ বাইরে থেকেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি নিজেদের প্রধান বিরোধী দল ও প্রভাবশারী রাজনৈতিক দল বলে প্রমাণ করেছে।
আওয়ামী লীগও নানাভাবেই এখনো বিএনপিকেই নিজেদের প্রতিদ্বন্দি মনে করে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, সংসদ অধিবেশনে এবং সংসদের বাইরে সভা সমিতিতে দেওয়া বক্তব্যে এখনো শেখ হাসিনাসহ সরকার দলের নেতারা বিএনপি নিয়েই মাঠ সরব রাখেন। বিএনপি সমালোচনা করেন। এতে প্রমানিত হয়, সরকারও বিএনপিকেই বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে মনে করছে।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করার অভিযোগ এনে ৫০০ কোটি টাকা ...
পাঠকের মতামত