ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৬/০৩/২০২৩ ২:৩৬ পিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। তবে নিজেকে আশাবাদী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংকট কেটে যাবে বলে আশা করি। প্রয়োজনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন দেবেন বলেও জানান তিনি। তবে আলোচনা যা হয় প্রকাশ্যেই হবে, গোপনে কিছু হবে না বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনো দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।’

আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র জানান, প্রয়োজনে মির্জা ফখরুলকে সরাসরি ফোন করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো প্রয়োজন ও পরিস্থিতি নেই বলে মনে করেন তিনি।

দলীয় অবস্থান তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে না আওয়ামী লীগ। তাদের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কিন্তু সহিংসতার চেষ্টা করলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেব না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করব না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি।’

এ সময় কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া না। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপিও লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো।’

‘কথা বললেই মামলা দেয়’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘কথা বললেই মামলা দেয়, প্রমাণ কী? তারা তো দেশে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সেই স্লোগানও দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আক্রমণ করছে। তারপরও কি তাদের নেতারা জেলে আছে? যার যা খুশি বলে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন তাতে মনে হয় বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়বে, বলবে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের। তারপর বলবে যে বাংলাদেশে বজ্রপাতে এত লোকের মৃত্যু, এটাও দোষ আওয়ামী লীগের। এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না।’

কাদের বলেন, ‘তারা একাত্তরের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না, তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না।

পাঠকের মতামত

জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে কিনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় ...

মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১২০ টন জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ...

রোহিঙ্গারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা -জাপানি রাষ্ট্রদূত

শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকায় ...

লোডশেডিং আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

দেশজুড়ে আবারো বেড়েছে লোডশেডিং। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ...