উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার দুপরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এই আশ্বাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কক্সবাজারস্থ বিজিবির আঞ্চলিক সদরদফতরে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ।
আর মিয়ানমারের পক্ষে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিপির মংডু আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাঈন টুও।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ইয়াবা পাচার রোধে মিয়ানমারের সহযোগিতা কামনা করা হয়। মিয়ানমারের বিজিপিও ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এছাড়া বৈঠকে উভয় বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময়, সীমান্তে নিয়মিত যৌথ টহল, সীমান্ত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে কক্সবাজার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনারপাড়ায় শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মাইকিং এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কড়াভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের সীমানায় বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্যরা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে আমরা তাদের দাবি নাকচ করে বলেছি, সীমান্তে এ ধরনের বিদ্রোহী গ্রুপের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
দুই মাস পরপর এই বৈঠক হবে জানিয়ে এস এম রাকিবুল্লাহ বলেন, ‘সীমান্তে ইয়াবাসহ চোরাচালান দমন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে দুই দেশ সম্মত হয়। এ কারণে সীমান্তে নিয়োজিত দু’দেশে সীমান্তরক্ষীদের চলমান যৌথ টহল আরও জোরদার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।’