
ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীন ‘গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা’ পালন করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে কাজ করছি এবং মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে রাখাইন রাজ্য সফর করেছেন।’ রাষ্ট্রদূত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা। তাদের অবশ্যই নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তারা যাতে নিজ বাসস্থানে ফিরে যায় সেজন্য তাদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে।
ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বাংলাদেশে পরস্পরের জন্য লাভজনক প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেন।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে লি জিমিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এ সাফল্য অর্জন করেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গন্তব্য একই।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের সহায়তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীন সব সময় বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে।’শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
পাঠকের মতামত