মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে নীরব ভূমিকার জন্য সমালোচিত দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচি মুখে কুলুপ এঁটেই রইলেন। বুধবার সিঙ্গাপুরে এক ব্যবসায়িক ফোরামে সুচি বলেন, তিনি ‘শান্তি এবং জাতীয়ভাবে সমঝোতা’র কাজ করবেন। তবে এবারও তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। বৃহস্পতিবার এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে দীর্ঘ বছর ধরে চলা বিদ্রোহের কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। চলতি বছরই কয়েক হাজার গৃহহীন মানুষ চীনে পাড়ি জমিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে সুচি বলেন, ‘আমাদের দেশ বর্তমানে বহু প্রতিকূলতার সম্মুখীন। আমাদের রয়েছে বহু নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়। দেশের স্থিতিশীলতা ও আইন রক্ষায় কাজ করা প্রয়োজন।’ তবে এ সময় তিনি রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মিয়ানমারে সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে গত সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে এরই মধ্যে উচ্ছেদ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা শুধু গায়ে কাপড়টুকু নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
এদিকে সুচির এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ওএইচসিএইচআর। সংস্থাটি জানায়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর অভিযানে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য করেছে ওএইচসিএইচআর।