প্রকাশিত: ০২/১০/২০১৭ ৭:৪১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪৭ পিএম

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের সেবা দানের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনার অস্থায়ী পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান ১ অক্টোবর টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সেনা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাগণও এ সেবা পাবেন।
জানা যায়, টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরে নতুন-পুরাতন মিলে প্রায় অর্ধ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের সেবায় নিয়োজিত আছেন জনপ্রতিনিধি, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সরকারী বিভিন্ন দপ্তর এবং এনজিও সংস্থা। এদের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবার কার্যক্রম চলে শামলাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। এখানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর একটি ইউনিট আগে থেকেই চালু ছিল।
এদিকে ১ অক্টোবর দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান
টেকনাফের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন এবং মেডিকেল টিম মনিটরিং করেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিসিএসডিপির লাইন ডাইরেক্টর ডা: মইনুদ্দীন, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট ডা: পু চ নু, কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা: পিন্টু কান্টি ভট্টাচার্য, সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব শামীম আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমন বড়ুয়া, টেকনিক্যাল অফিসার ইউএনপিএ আবু সাইদ মো: হাসান, টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতি পূর্ণ চাকমা কক্সবাজার সদর ইউএফপিও সিরাজ আহমদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতি পূর্ণ চাকমা বলেন ‘পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার (এমওএমসিএইচ-এফপি বান্দরবান সদর ও লামা) ডা: নুরুসছাফা এবং মেডিকেল অফিসার (এমওএমসিএইচ-এফপি বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি) ডা: শুভ্র পালিতের নেতৃত্বে ৩টি মেডিকেল টীম চালু শামলাপুরে রয়েছে’। তিনি আরও বলেন ‘সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সেবা দানের সুবিধার্থে সরকারী-বেসরকারী সেবা দানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে’।
অপরদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষং পুটিবনিয়া এবং কেরুনতলীর চাকমারকুল লক্ষাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার জন্য একমাত্র প্রাতিষ্টানিক কেন্দ্র হচ্ছে কাঞ্জরপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এখানেও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর একটি ইউনিট আগে থেকেই চালু রয়েছে।
কিন্ত ভবনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপুর্ণ। এ মুহুর্তে জরুরী ভিত্তিতে ভবনগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের আবাসিক ব্যবস্থাসহ ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হলে স্থানীয়সহ ২ লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র নির্ভর এ কেন্দ্রে সকল প্রকার সেবা চালু করা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...