আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার সেনার অবস্থান তৈরি করেছে বিতর্ক৷ উঠেছে গণহত্যার অভিযোগ৷ এদিকে কিছু তদন্তমূলক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অং সান সুচি যে ভূমিকা নিচ্ছেন তা মায়ানমারের সেনাবাহিনী পছন্দ করছে না৷ থাইল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ‘ব্যাংকক পোষ্ট’ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্ত এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফিরিয়ে আনার ইস্যুতে সুচি এবং সেনার সম্পর্ক বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে।
ফের গৃহবন্দি হতে চলেছেন সুচি? উঠছে এই প্রশ্ন৷ যদিও পরে দেশের সেনাবাহিনী জানিয়েছে সুচি-কে কোনরকম হুমকি দেয়া হয়নি৷ তবে তাদের দাবি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ মায়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাবাহিনী যদি মনে করে দেশে বা দেশের কোনও অঞ্চলে নিরাপত্তার হুমকি তৈরি হয়েছে, তাহলে তারা পুরো দেশের বা ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসন চালানোর অধিকার নিয়ে নিতে পারবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নোবেল জয়ী নেত্রী বার বার সমালোচিত হয়েছেন৷ মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা ও রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষের জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে৷ সেখানে চলছে শিবির৷ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ বজায় রেখেছে বাংলাদেশ সরকার৷ বিবিসির প্রাক্তন সাংবাদিক ল্যারি জ্যাগানের লেখা এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা এবং নির্যাতনের তদন্ত সহ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে জাতিসংঘের সাথে যে বোঝাপড়া সুচি সরকার করেছেন তাতে সেনাবাহিনীর সন্দেহ বাড়ছে। তদন্ত কমিটিতে একজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ রাখার বিষয় নিয়ে তীব্র আপত্তি করছে সেনা।
ব্যাংকক পোস্ট সহ আরও কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবি, মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেশটির প্রধান নেত্রী সুচি প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ সেই বৈঠকেই সেনাপ্রধান হুমকি দেন অভ্যুত্থানের৷ তিনি বলেন, আপনি যদি সরকার চালাতে না পারেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ফিরিয়ে নেবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেই বৈঠকের পরই সুচি ও সেনা প্রধান একে অপরের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে তৎপর হয়েছেন৷