ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৩/০২/২০২৩ ৭:৩৪ এএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই সহানুভূতি দেখাচ্ছে। তবে কেউ তাদের দেশে ফেরাতে যথাযথ সহায়তা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ওপর অনেক দেশ নিষেধাজ্ঞা দিলেও ঠিকই ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিনিয়োগ করছে। বহুপক্ষীয়ভাবে এই ইস্যুর সমাধান করতে হবে।

ঢাকা সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মামাদু তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে গাম্বিয়া বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সে কারণে আমরা এই ইস্যুতে অ্যাডভোকেসি করছি। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমে শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে গাম্বিয়া।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। এই গণহত্যায় জড়িতদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট প্রেক্ষাপট টেনে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বজুড়ে সংকট চলছে। আর এ সংকট থেকেই প্রমাণিত হয়, আমরা গ্লোবাল ভিলেজে রয়েছি। আমরা একযোগে এই সংকট থেকে উত্তরণ চাই। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা নিয়ে গাম্বিয়ার আইসিজেতে মামলার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, এক সময় এই বিচার শেষ হবে। রায় আসবে। আন্তর্জাতিকভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শেষ হবে। গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে ভূমিকা বাংলাদেশ সবসময় এটা মনে রাখবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।

শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-গাম্বিয়া

বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জয়েন্ট পলিটিকাল ডিক্লারেশন সই করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। দুটি দেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যৌথভাবে কাজ করবে।
ঢাকার পক্ষে চুক্তিটি সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। অন্যদিকে গাম্বিয়ার পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা চুক্তি সই করেন।

চুক্তি সই নিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা শান্তিরক্ষী বাহিনীর কো-ডিপ্লয়মেন্ট সংক্রান্ত চুক্তি সই করলাম। ভবিষ্যতে আমাদের যত শান্তিরক্ষী বাহিনী যাবে, সেগুলো বুঝে অনেকগুলোতে তাদের থেকে শান্তিরক্ষী নেবে।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে গাম্বিয়া, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় সহযোগিতা হবে। দুই দেশই শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করে। এ চুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও দেশের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিরক্ষী কাজ করবে বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত

জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে কিনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় ...

মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১২০ টন জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ...

রোহিঙ্গারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা -জাপানি রাষ্ট্রদূত

শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকায় ...

লোডশেডিং আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

দেশজুড়ে আবারো বেড়েছে লোডশেডিং। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ...