ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০২৩ ৭:০৪ এএম

জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ’বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের অবস্থান শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।’ রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এ কথা জানান।

বাংলাদেশ ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বিবেচনা করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এই সম্পর্ককে ‘দৃঢ় ও অনন্য’ বলে অভিহিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতে অবস্থাকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ’এর ফলে দুদেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য যে চুক্তি হয়েছে, তাতে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।’

২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক অনুমতি পেয়েছে ভারত।

এর আগে ২০১৮ সালে ভারতে এসিএমপি (চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট) চুক্তি স্বাক্ষর করে ঢাকা ও দিল্লি। এর আওতায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ।

পানি বণ্টন চুক্তিসহ দুদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। গত দেড় দশকে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় দেশের জনগণ তার সুফল ভোগ করছে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে, যা দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সচিবরা ও ডেপুটি হাইকমিশনার বিনয় জর্জও উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

পাঠকের মতামত

মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১২০ টন জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ...

রোহিঙ্গারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা -জাপানি রাষ্ট্রদূত

শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকায় ...

লোডশেডিং আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

দেশজুড়ে আবারো বেড়েছে লোডশেডিং। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ...

এলপিজির দাম ১ হাজার ৭৪ টাকা

ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম কামানো হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ...