
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, বাংলাদেশে ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটার ও ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা আমাদের কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোকের সহায়তার জালিয়াতি করে বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা সেটিকে প্রতিহত করেছি। জালিয়াতির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
সোমবার রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। সিইসি বলেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র পায়নি। জালিয়াতির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ বা কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেই নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পাবেন না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমদু, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আগামী ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনের (জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া) উপ-নির্বাচন উপলক্ষে এ সভা করা হয়।
পাঠকের মতামত