[caption id="attachment_13653" align="alignleft" width="650"] কফি আনানের বিরুদ্ধে রাখাইনে বিক্ষোভ করে বৌদ্ধ কট্টরপন্থীরা। ছবি : বিবিসি[/caption]
নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা দেখতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নেমেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। বিমানবন্দরের বাইরে কফি আনানের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কট্টরপন্থীরা।
আজ শুক্রবার রাখাইন রাজ্যে পৌঁছান কফি আনান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিটুয়ে পৌঁছানোর পর সরকারের তরফ থেকে কফি আনান ও তাঁর দলকে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের বাইরেই ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশন রাখাইনের রোহিঙ্গাদের অবস্থা সম্পর্কে তদন্ত করছে। আর এরই অংশ হিসেবে দলটি মিয়ানমার যায়। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই সর্বশেষ দফা সহিংসতা শুরুর আগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি নয় সদস্যের এই আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করেন।
কমিশনে মিয়ানমারের ছয়জন এবং কফি আনান ছাড়া আরো দুজন বিদেশি প্রতিনিধি আছেন। তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সু চি এই কমিশন গঠনে বাধ্য হয়েছিলেন।
সিটুয়ে বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কফি আনান কমিশন নিষিদ্ধ কর’। বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা কফি আনান কমিশন চাই না’ বলে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে যা ঘটছে সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে আমরা বিদেশিদের হস্তক্ষেপ চাই না।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বশেষ অভিযানের মুখে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। সেখানকার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে দিচ্ছে, নারী-পুরুষকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এমনকি অবিবাহিত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে এসব প্রতিবেদনে। এ নিয়ে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সোচ্চার ভূমিকার মধ্যেই মিয়ানমারের বিজিবি রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
মিয়ানমারের বক্তব্য হল- সীমান্ত অঞ্চলে তাদের কয়েকটি ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা চালিয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর পরই সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এই কারণে অনেক নিরীহ লোকজনও ভয় পাচ্ছে। তারা এক রকম ডিসপ্লেস হয়ে চলে আসছে। সুত্র এনটিভি বিডি