প্রকাশিত: ১৬/০৫/২০১৭ ২:২৪ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
অনুপ্রবেশকারী চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাষানচরে স্থানান্তর না করা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে চারটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখে মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের অস্থায়ী চারটি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে নোয়াখালীর ভাষানচরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সেখানে স্থানান্তর করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভাষানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করা পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের চারটি ক্যাম্পে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে রেখে মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৩১ জন। ওই দুটি ক্যাম্পসহ উখিয়ার বালুখালী এবং টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে আগে থেকে অবস্থানকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫৫ হাজার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত বছরের ৯ অক্টোবর সহিংস ঘটনার পর বাংলাদেশে নতুন করে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা ৭৪ হাজার। এ ছাড়া কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৩ লক্ষাধিক বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে আগে থেকে অনুপ্রবেশকারী আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা না থাকলেও সদ্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য এরই মধ্যে কিছু মানাবিক সাহায্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আইওএম এবং মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতায় এসব সাহায্য সামগ্রী দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সরকার রোহিঙ্গাদের স্থাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অধীনে ৫৯ হাজার রোহিঙ্গা শিশু ও মাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থা রোহিঙ্গাদের সরাসরি সাহায্য-সহযোগিতা ও নগদ অর্থ বিতরণ করতে পারবে না। কেবল সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে এই সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া যাবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সঠিক জরিপ এবং নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সুপারিশ করা হয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং নাফ নদীতে রাত্রিকালীন মাছ ধরা বন্ধ করা যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। –

পাঠকের মতামত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে আমার নামে “সাত হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আসামিকে ক্যাম্পে এনে পরবর্তীতে আর্থিক ...