প্রকাশিত: ১৪/০৮/২০১৭ ৮:৪৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:১২ পিএম

রামু প্রতিনিধি::

রামু উপজেলার সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর এলাকার একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। সরকারি পরিত্যক্ত ভবনকেই তিনি বানিয়েছেন ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের আখড়া। শাহজাহান অফিসেরচর এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে। ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার চিহ্নিত চোর ও ছিনতাইকারী দলের সিন্ডিকেটের সাথে তার গোপন সখ্যতা রয়েছে। চুরি ও ছিনতাইকৃত দামী মালামাল সে নামমাত্র মূল্যে কিনে নিয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বাইরে বিক্রি করে বলেও অভিযোগ। এলাকার সাধারণ জনগণ তার অত্যাচারে দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয় দোকানদারেরা। উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর, টমটমচালকসহ স্থানীয় বেকার যুবকদের টার্গেট করে তার পাইকারী ইয়াবা খুচরা বিক্রি করে দেয়ার জন্য ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাধ্য করেন। এছাড়াও তার স্ত্রীও খুচরা ইয়াবা প্যাকেট করেন এবং বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। যার ফলে পথভ্রষ্ট হচ্ছে এলাকার স্থানীয় স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী, কিশোরসহ উঠতি বয়সের যুবকেরা। তাঁর এসব অপকর্মের সহযোগী স্থানীয় ইলিয়াছ মিস্ত্রীর ছেলে ফজল কাদেরসহ তার আপন ভাইয়েরা বলে জানা যায়। স্থানীয় বেকার যুবকদের এভাবে মরঘাতী নেশায় আসক্ত করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করছেন তিনি।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে বিপুল পরিমাণে ইয়াবাসহ আটক হয়ে কারাভোগ করেছিলেন শাহজাহান। পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকদফা আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হলেও অজ্ঞাত ক্ষমতার জোরে তিনি আবার ছাড়া পেয়ে যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অফিসেরচর এলাকার একজন যুবক জানান, অফিসেরচর সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পিছনেরর একটি পরিত্যক্ত ভবনে দিনে দুপুরে চলে ইয়াবা সেবন। সবাই শাহজাহানের কাছ থেকেই ইয়াবা নিয়ে যায় এবং তাদের পাহারা ও শেল্টার দেয় এই শাহজাহান। এভাবে সরকারি পরিত্যক্ত ভবনকেই ইয়াবা সেবনের আখড়া বানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান। এলাকার লোকজনসহ সবাই উক্ত ব্যক্তির ইয়াবা ব্যবসার বিষয়ে অবগত। কিন্তু কেউ কিছু বলে না।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: শাহজাহান আলী জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী যতই প্রভাবশালী হোক কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না। অতিস্বত্বর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এভাবে রামুর অফিসেরচরে দিন দিন প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি হলেও প্রভাবশালী লোকজন হওয়ায় এলাকার লোকজন কিছু বলার সাহস করে না। অতিস্বত্বর অফিসেরচর এলাকায় ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...

রাজাপালং ইউপি’র উপ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন চার চেয়ারম্যান প্রার্থী

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির উপ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ...

আইনি লড়াইয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন হুমায়ুন কবির চৌধুরী

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উপনির্বাচনে মহামান্য হাইকোর্টের রাযে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক বাতিলকৃত মনোনয়ন ...