প্রকাশিত: ০৭/০৪/২০১৭ ৯:০৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে বিজু-সাংগ্রাইন-বৈসুক-বিষু অর্থাৎ বৈসাবি মেলা। আর এ মেলা চলবে ৩ দিনব্যাপী। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বসনো হয়েছে মেলার বিভিন্ন স্টল।

সবগুলো স্টল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাচাঙ ঘরের আদলে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি। মেলার পশরা সাজানো হয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংষ্কৃতি, অলংকার, কোমর তাঁতের তৈরি পোশাক ও বাঁশ আর বেতের তৈরি পণ্য, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিভিন্ন পণ্য সমগ্রি দিয়ে। এবার মেলার অন্যতম আকর্ষণ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ ভারতরে শিল্পীদের গান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনযাত্রার উপর আলোক চিত্র, পাচন রান্না, নাটক, পাহাড়ি খেলাধুলা আর নাচ।
বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা প্রমুখ।
জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষির ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব আচার ও নিয়মে এপ্রিলের প্রথম সাপ্তাহ শুরু হয় বৈসাবি উৎসব। ভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে এক বৈচিত্র্যময়রূপ ধারন করে এ উৎসব । বৈসাবি মেলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হবে জলোৎসব দিয়ে। আর এ অর্ধমাস ব্যাপী চলবে বৈসাবির নানান কর্মসুচি। বৈসাবি আনন্দে মেতে উঠে এ অঞ্চলের পাহাড়ী-বাঙ্গালীসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরাও।
এদিকে শুরু হওয়া বৈসাবি মেলার প্রথম দিন ছিল উৎসব মুখর। পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সব সম্পদায়ের অগণিত নারী-পুরুষের ঢল নামে মেলা স্থলে। সন্ধ্যা নাগাদ জমে উপচেপড়া ভিড়। মেলাকে ঘিরে পাহাড়ের বইছে আনন্দের বন্যা। সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন ক্ষেত্র। এছাড়া মেলা চলাকালে যেকোন নাশকতা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, এ বৈসাবি উৎসবটা করা হয় মুলতো এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কৃষ্টি-সংষ্কৃতিকে সংরক্ষণ করতে। যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের ঐতিহ্য ভুলে না যায়। এ বৈসাবি মেলা উৎসবকে কেন্দ্র করে মুলতো পাহারে অর্ধমাস ব্যাপী বিজু উৎসব শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে প্রতিবছর পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে।

পাঠকের মতামত

আমেরিকায় এমন সহিংসতার স্থান নেই, এটা ক্ষমা করা যায় না : বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে ...

ফতেখাঁরকুল ও রাজাপালং ইউপি নির্বাচন : অপরাধের বিচার করতে ২ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

আগামী ২৭ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ও উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ...

দুই রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে ভৈরবে এসে আটক

জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছিলেন দুজন রোহিঙ্গা। ...