প্রকাশিত: ৩১/০৩/২০১৮ ১০:২২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৫ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
হাঁটি হাঁপি পা পা করে ২৫ বছর পাড়ি দিলো কক্সবাজারের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সিটি কলেজ। এই উপলক্ষ্যে বহুল প্রতীক্ষিত রজতজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য উৎসব শনিবার (৩১মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উৎসবে বর্তমান ও প্রাক্তন মিলে অন্তত পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী মিলিত হন। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কোটি তারুণ্যের আদর্শ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কক্সবাজারের কৃতিসন্তান ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. একে আহামদ হোসেন, কলেজের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, এড. আমজাদ হোসেন, ফরিদুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলমসহ আরো অনেকে।
সকাল সাড়ে টায় কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দান থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজের স্মৃতিচারণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রছাত্রী ও অতিথিদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিলো সিটি কলেজ ক্যাম্পাস। তাদের পদভাবে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করেছে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
উৎসবের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের কোটি তারুণ্যের আদর্শ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমি যতটুকু জেনেছি তাতে বলতে পারি কক্সবাজার সিটি কলেজ একটি ক্ষুদ্র পরিসরে অস্থায়ী স্থাপনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। মাত্র দু’শ শিক্ষার্থী এবং ১০/১২ জন শিক্ষক নিয়ে এই জাতি গড়ার এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা করেছিল। তবে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের অত্যন্ত আন্তরিকতায় কলেজটি আজ মহীরূপে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করি শুধু দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয়; এই কলেজটি একদিন দেশ সেরা কলেজে পরিণত হবে। এই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তির দাপট চলছে। তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই করা যাচ্ছে না। তাই বিশ্বজুড়ে শিক্ষাখাতের অবয়বেও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবখানে তথ্য-প্রযুক্তি বহুল প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশকেও এই কাতারে শামিল করতে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে এটা স্পষ্ট যে, যারা তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হবে তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য পলক বলেন, মাদক ও জঙ্গীবাদ হচ্ছে একজন তরুণের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই দু’টিকে প্রধান শত্রু মনে করতে হবে। কারণ মাদক ও জঙ্গীবাদ অজুত সম্ভাবনা নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা একজন তরুণকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই মাদক ও জঙ্গীবাদ থেকে সব তরুণকে দূরে থাকতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, কলেজের অগ্রযাত্রায় সীমাহীন সীমাবদ্ধতা এবং চরম প্রতিবন্ধকতার মুখেও আমাদের দৃঢ় মনোবলের অধিকারী পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক কর্মচারীদের অদম্য আকাঙ্খাই কলেজের অগ্রযাত্রাকে সবসময়ই সচল রেখেছে। রজতজয়ন্তী হবে কক্সবাজার সিটি কলেজের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরে আমরা এগিয়ে যাবো নতুন উদ্যমে। তিনি সিটি কলেজকে দেশের অন্যতম মডেল কলেজে রুপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রজতজয়ন্তী উৎসবে অংশ নেয়া বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ভুভুজুলাসহ নানাভাবে আনন্দ উদযাপন করেন। বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী দলবেঁধে কোরাস ধরে উল্লাসে মেতে উঠেন। মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের গান, কৌতুক ও নৃত্য দিয়ে সবাই বিমোহিত হন। স্মৃতিচারণ পর্বে অনেকে নষ্টালজিয়ায় বুদ হয়ে যান। সব কিছুকে স্মৃতির ঘরে আবদ্ধ করে রাত নামার ক্ষণে সবাই ছেড়ে যান প্রিস ক্যাম্পাস।
অনুষ্ঠান স ালনা করেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শরমিন ছিদ্দিকী, মেঘলা দে, রোমেনা আকতার। পুরো উৎসবের সার্বিক পরিচালনা দেখভাল করেন উপাধ্যক্ষ আবু জাফর সাদিক, উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী ও সদস্য সচিব মঈনুল হাসান পলাশসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা।

পাঠকের মতামত

র‍্যাগ ডে’র পরিবর্তে নসীহা প্রোগ্রাম করে প্রশংসায় ভাসছে শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদায় অনুষ্ঠানে নাচ-গানের মাধ্যমে র‍্যাগ ডে পালনের এক নতুন কালচার চালু ...

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন কক্সবাজারের সন্তান রেজাউল

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়রাম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ...