
মিয়ানমার সফর করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মিয়ানমারের সাথে নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমইও) করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সফরের তারিখ ঠিক না হলেও এ সময় রোহিঙ্গদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও মিয়ানমারে সুষ্ঠুভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়াটাই মূল লক্ষ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিয়ানমার সরকার কয়েকমাস আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো। ২ অক্টোবর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রস্তুতি শুরু হয়।
প্রতিনিধিদলে থাকছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন সদস্য। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণই হবে প্রতিনিধিদলের মূল কাজ। একই সঙ্গে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্তের বিষয়েও যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চারটি এমইও সাইন করার বিষয় ছিল। সেগুলো হবে। এটা একটা ডিসাইডেড ইস্যু ছিল। যেমন : নাফ নদীর সীমারেখা নিয়ে কথা ছিল। বর্ডার অব ফিস, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস (বিএলও), আরো ছিল বর্ডারের সিকিউরিটি সংক্রান্ত বিষয় কিছু। মানে সিকিউরিটি ডায়ালগ অ্যান্ড কো-অপারেশন। এগুলো নিয়ে চারটি এমইও সাইন হওয়ার কথা রয়েছে।’
নিরাপত্তাবিষয়ক চুক্তিগুলো সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘(মিয়ানমারের) ইউনিয়নমন্ত্রী এসেছিলেন। তিনি আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁদের হোম মিনিস্ট্রি থেকে একটা পত্র নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নিয়েও কথাবার্তা হবে। আমরা যেজন্য যাব, তার এজেন্ডা ঠিক হবে। এজেন্ডা ঠিক হওয়ার পরে ডেট ঠিক করে আমরা যাব।’
এজেন্ডা কোন দিকে মূলত ফোকাস হতে পারে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এজেন্ডা তো, আমরা আমাদের প্রবলেমের কথা বলবই। আমাদের ওপরে নতুন করে আরো পাঁচ লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারী, যারা নাকি মিয়ানমার থেকে চলে আসছে, তাদেরকে ফেরত কীভাবে নেবে, কত তাড়াতাড়ি নেবে সেটাই আমাদের মূল ডায়ালগ হবে।’
রোহিঙ্গাদের মানবিক আবেদনের বিষয়টি তুলে ধরতে পারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সংলাপ এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সারা বিশ্বে এই ইস্যুটি যেভাবে নজর কেড়েছে তার সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার জন্য বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত