প্রকাশিত: ২১/১১/২০১৬ ৮:১০ এএম
ফাইল ছবি

bgbসরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::

মিয়ানমারের আরকান প্রদেশে মংডু ও বুচিডং জেলার বিভিন্ন স্থানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বিজিপির হাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সহিংস ও অমানবিক নির্যাতনের চিত্র গনমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে আসার পর থেকে বিশ্বব্যাপী তোড়পাড় চলছে।নির্যাতনের ভয়াবহতায় বাংলাদেশের দিকে রোহিঙ্গাদের ধেয়ে আসার খবরও গনমাধ্যম গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে।এদিকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েত করা হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবি টহলও।

সুত্র জানায়,মিয়ানমারে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা অব্যাহতভাবে নির্যাতনের খবরে বাংলাদেশের শরনার্থী শিবিরে থাকা আত্বীয় স্বজনদের মাঝে ব্যাপক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের একাধিক রোহিঙ্গা জানান,মিয়ানমারে তাদের আত্বীয় স্বজনরা খুব বিপদে আছে,মিয়ানমার সেনাবাহিনী মুসলিম নাগরিক সহ শিশুদের হত্যা করছে নির্মমভাবে।তাদের অনেকেই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবির কঠোর অবস্থানে কারনে অনুপ্রবেশ করতে পারছেনা।এদিকে অশান্ত মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। ইতিমধ্যে টেকনাফ বিজিবি ও কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি দু দফা ১১৬ জন রোহিঙ্গাকে সীমান্ত দিয়ে পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাটিয়েছে। মিয়ানমারের যে সংঘাত চলছে এর প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশংকা করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অতিরিক্ত বিজিবর সদস্য মোতায়ন করে টহল জোরদার করা হয়েছে। ১৯৭৮ সালে আড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন নীপিড়নের কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসে।এর পর ১৯৯১ সালের শেষের দিকে আবারো নির্যাতনের কথা বলে ২ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা এ দেশে চলে আসে। বেশি ভাগ রোহিঙ্গা চলে গেলেও উখিয়া Ñ টেকনাফের দুইটি রোহিঙ্গা শিবিরের প্রায় ৩২ হাজার রোহিঙ্গা রয়ে গেছে।২০০৫ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ হয়ে যায়।২০১২ সালে মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে অভিযোগ তোলে আবারো ৫০ হাজারের মত রোহিঙ্গা নাগরিক ধেয়ে এসে উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফ লেদা এলাকায় ঝুঁপড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছে।আবারো মাস ধরে চলছে মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর রাখাইন রাইজ্যে নির্যাতন ও নীপিড়ন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রচার হওয়ায় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষে সীমান্ত এলাকা জোড়ে অতিরিক্ত বর্ডার গার্ড বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে সীমান্ত জোড়ে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...