মিয়ানমারে সীমান্ত চৌকিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর চোরাগুপ্তা হামলা ও অস্ত্রলুটের জেরধরে মিয়ানমার সরকার বাহিনীর সদস্যরা মুসলিমদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা,নারী,পুরুষ ও শিশুদের অমানবিক নির্যাতন এবং বসত-বাড়ি,মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পোড়ানো বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। এই খবর পেয়ে পুলিশ-বিজিবির বিশেষ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা যায়-১৪ অক্টোবর বাদে জুমা টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের মসজিদ-মাদ্রাসা হতে নারী-পুরুষেরা সংঘবদ্ধ হয়ে এইচ ব্লকের কমিটির ইয়াছিন ও মৌলভী ইয়াছিনের ইন্দনে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের আরকান প্রদেশে মুসলিম নিধন ও নির্যাতন বন্ধে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মৌলভী ইয়াছিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এই কাজে ইন্দন দানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এই ব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান-বাদে জুমা কিছু রোহিঙ্গা সংগঠিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ-বিজিবি তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জরুরী ভিত্তিতে আইন-শৃংখলা সভার পর এখন পরিস্থিতি একেবারেই শান্ত রয়েছে। নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের আইসি এসআই আবুল কাশেম একই ধরনের মন্তব্য করেন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এসআই সাফায়েত সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ-বিজিবির বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে আরআরসি কর্মকর্তা ফজলুল করিম চৌধুরী,বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিউল আলম ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রোহিঙ্গা ব্লক ও শেড মাঝিদের নিয়ে বিশেষ আইন-শৃংখলা বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।