
ডেস্ক রিপোর্ট ::
মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে তীব্র সমালোচনার জবাবে মার্কিন জ্বালানী তেল প্রতিষ্ঠান শেভরন জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে চাপ দেবে।
রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর কারণে মিয়ানমারের সরকারের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে পালিয়ে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
সেই মিয়ানমারে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ব্যবসা রয়েছে শেভরনের। ব্যবসা রয়েছে রোহিঙ্গা সংকটে ভুক্তভোগী বাংলাদেশের সঙ্গেও। তাই ‘পাঠ্যবইয়ে যোগ করার মতো জাতিগত নিধনের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করা মিয়ানমারের সহিংসতার পরও চাপ করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে এই অয়েল জায়ান্ট।
অবশ্য আগস্টে নতুন করে বর্মী সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হওয়ার আগে থেকে বহু বছর ধরেই মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিনিয়োগকারীদের চাপের মুখে রয়েছে। তাই অবশেষে শেভরন জানাল, তারা এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশে কাজ করবে যেখানে মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করা হয়।রোহিঙ্গা-মিয়ানমার-শেভরন
বিবিসির কাছে দেয়া একটি লিখিত বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে: শেভরন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত সহিংসতাপূর্ণ জটিল পরিস্থিতি নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে চলমান আলোচনাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। আমরা বিশ্বাস করি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মার্কিন বিনিয়োগ একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা।
‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কোম্পানি এবং মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো যেন এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে মার্কিন বিনিয়োগের গুরুত্ব আরও ছড়িয়ে পড়ে এবং মানবাধিকারকে সম্মান করে এমন ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তাবোধ আরও ছড়িয়ে পড়ে।’
ফরাসি অয়েল জায়ান্ট টোটালের সঙ্গে মিলে শেভরন প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ রাখাইন উপত্যকায় একটি তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্প চালাচ্ছে। এছাড়াও মিয়ানমারের অন্য বেশ কিছু অংশেও একই ধরণের প্রকল্প চলছে প্রতিষ্ঠান দু’টোর।
পাঠকের মতামত