ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০১/১১/২০২২ ৯:৩২ এএম

নাইক্ষ্যংনছড়ির সীমান্তের ৩৪ পিলার দিয়ে ফের ৫টি মর্টারশেলের বিকট আওয়াজ প্রকম্পিত হয়েছে ঘুমধুমের তমব্রু বাজারসহ পুরো এলাকা। পতাকা বৈঠকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ধরণের আওয়াজে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। সীমান্তের লোকজন বলাবলি করছিলো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে এখন সে দেশের বিদ্রোহী আরকান আর্মির আধিপত্য রয়েছে। সোমবারের গোলাগুলির পর সে সত্যটাই এখন সীমান্তের মানুষের মনে রেখাপাত করলো পূণর্বার।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, পতাকা বৈঠকে শেষ হলো রোববার ৩ টায়। তারা দুঃখ প্রকাশ করলো। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই সোমবার বেলা ১২ টার পর ৫ টি শর্টারশেলের গুলির আওয়াজে কাঁপলো তার এলাকা। যেন স্বপ্নভঙ্গ।
সূত্র দাবী করেন, গত রোববার দুপুরে পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের অভ্য ন্তরে মিয়ানমার নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর গোলা নিক্ষেপ, প্রাণহানি ও অবৈধভাবে দেশটির হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। আর সোমবার গোলাগুলির আওয়াজ ভেসে আসলো বাংলাদেশ সীমান্তের তমব্রুসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
তারা আরো বলেন, রোববার বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ব্যা টালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে এ পতাকা বৈঠকে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে।
এর আগে বৈঠকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চিঠি পাঠানো হয় কয়েক দফা। উত্তর দেয়নি মিয়ানমার। সর্বশেষ সম্মত হয়ে শনিবার চিঠি পাঠিয়ে রোববার পতাকা বৈঠক করলো তারা।

সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার শর্তে মিয়ানমারের অভ্যান্তরীণ কোন্দলে চলমান সংঘাতের জেরে ভবিষ্যতে যেন বাংলাদেশের অভ্যতন্তরে কোনো গোলাবারুদ না পড়ে, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানানো হয়েছিলো টেকনাফের পতাকা বৈঠকে। তারা দুঃখ প্রকাশও করলো সেখানে।
এ বৈঠকের পরে সীমান্ত জনপদের মানুষের মাঝে আশার আলো সঞ্চার হয়েছিল তখন। ভেবেছিলো হয়তো গোলাগুলি এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ আর আসবেনা এ দেশে। কিন্তু না হলো উল্টোটা। ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই সোমবার দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে একটি,১২টা৫৫ মিনিটে আরেকটি,১টা ৩০ মিনিটে একটি সহ মোট ৫ টি বিকট আওয়াজের মর্টারশেল বিস্ফোরণ হলো তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে। এতে প্রকম্পিত হয় সীমান্তের তুমব্রু বাজার সহ ৫ গ্রাম বলে জানিয়েছেন তুমব্রুস্থ ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আসা ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যু মোঃ আলম। তিনি বলেন, তিনি সহ সবাই ভয় পেয়েছেন এ আওয়াজে। সবাই আত্যাধিক হয়ে পড়ে।
তমব্রু বাজারের ব্যববসায়ী মোঃ সরোয়ার জানান সীমান্ত পিলার ৩৯ নাম্বারের মাঝখানে দিয়ে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ গোল এসেছে বলে তার ধারণা। সূত্র গুলো নিশ্চিত করেছেন সীমান্তে পাহারারত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা টহলে আছেন। তারা সর্তকে। তবে বিজিবির কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...