প্রকাশিত: ২৬/০৯/২০১৭ ১০:৫১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:০৪ পিএম

ঢাকা: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের দুই সাংবাদিককে ক্ষমা এবং তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়। মিনজাইয়ার ও হকুন লাট নামে ওই দুই সাংবাদিককে ৭ সেপ্টেম্বর আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করা হয়। মিয়ানমারের ওই দুই সাংবাদিক জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক ম্যাগাজিন জিওতে কাজ করেন। তাদের বিরুদ্ধে টুরিস্ট ভিসা গোপন করে সীমান্তে গিয়ে ছবি সংগ্রহ, অডিও-ভিডিও ধারণ ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ফটোসাংবাদিক এর আগে মিয়ানমারের রয়টার্সের পক্ষে কাজ করেছেন এবং রয়টার্সের পক্ষে তাদের মুক্তির জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ফটোসাংবাদিকদ্বয় এর আগে মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগত সংঘাতকবলিত রাজ্যে মিয়ানমারের বর্বরতার প্রমাণ তুলে ধরেছেন। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার ক্ষেত্রে ফটোসাংবাদিকদ্বয় রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্মমতার প্রমাণ বহির্বিশ্বে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশে আসেন বলে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। এ ছাড়া জার্মান পার্লামেন্টের নেইরলস অ্যান্নান এমপি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে পাঠানো পত্রে ওই দুই ফটোসাংবাদিককে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত মিয়ানমারের নাগরিকদ্বয় জার্মান ম্যাগাজিন জিওর হয়ে কাজ করায় জার্মান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বার্লিনে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিক আটক করার বিষয়টি বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তিকে ক্ষুণœ করতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তা ছাড়া বিশ্ববরেণ্য কয়েকজন সাংবাদিকও তাদের মুক্তির দাবি করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব মিডিয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমানে বাংলাদেশের যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি ও বাংলাদেশের জন্য যে সহানুভূতি রয়েছে, তা বজায় রাখার জন্য গ্রেপ্তারকৃত ফটোসাংবাদিকদ্বয়ের বিষয়টিকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখা উচিত বলে বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনে করেন। এ ছাড়া মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও মিয়ানমারের উল্লিখিত ফটোসাংবাদিকদ্বয়ের পূর্ববর্তী প্রশংসনীয় কাজের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তাদের ক্ষমা করে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে মিয়ানমারের দুই সাংবাদিকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের ওই সাংবাদিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে খবর সংগ্রহের জন্য সেপ্টেম্বরের শুরুতে কক্সবাজারে আসেন। এর মধ্যে মিনজাইয়ার ছবি তোলার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। তার ছবি নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হয়।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুত্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ...

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কিত প্রস্তাব গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে ...

৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ...

জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে কথা বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ...