প্রকাশিত: ২৯/০৪/২০২১ ১০:৫৬ এএম , আপডেট: ২৯/০৪/২০২১ ১০:৫৮ এএম

বিশেষ প্রতিবেদক::
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা ঘটনায় সেদেশের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শত শত রোহিঙ্গারা। এসব রোহিঙ্গারা কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়ে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে।
গত কয়েকদিনে এ পর্যন্ত ৭জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আমড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তাদেরকে হেফাজতে নিয়েছেন।
বূধবার রাতে মিয়ানমারের আকিয়াবের মংডু শহর থেকে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে।
বূধবার রাত ১১টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নাম্বার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে আরও দুইজনকে চিহ্নিত করে আমড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন)পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে তাদেরকে (আজ) বৃহস্পতিবার যেকোনো সময়ে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
দুইজন রোহিঙ্গা হলেন-মিয়ানমারের আকিয়াবের মংডু শহরের বড় গজরবিলের বাসিন্দা মৃত নেজাম উদ্দিনের ছেলে কবির আহাম্মদ (৬০)। বর্তমানে তার স্ত্রী- বেগম বাহার (৫০), এফসিএন নম্বর-২৭৪৯০৯, জাদিমোরা শালবাগান শিবিরে ব্লক-বি/৩ ঘরে বসবাস করছে। অপরজন একই এলাকার মো সোনা আলী ছেলে মোহাম্মদ ফেডান (২২)। বর্তমানে তার মা ফরিদা বেগম (৫০) এফসিএন নং-২৭৫৭১৩, জাদিমোরা শালবাগান শিবিরে ব্লক-এ/৮ ঘরের বসবাস বসবাস করছেন।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার-১৬ আমড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএনের) কমান্ডিং কর্মকর্তা ও অধিনায়ক মো তারিকুল ইসলাম তারিক।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আরও দুজন নতুন রোহিঙ্গা নাগরিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নাম্বার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে বলে খবর পায়। পরে ওই শিবিরের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত এপিবিএনের সদস্যরা স্ব স্ব পরিবারে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়ে পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছিলেন টেকনাফের শালবাগান শিবিরে। তারা সেদেশের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে পরিবারের কাছে চলে এসেছেন।
তারা আরও বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সহিংসতা চলাকালে তারা সেখানে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে তারা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
অধিনায়ক মো তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, নতুন করে রোহিঙ্গা শিবিরে আসা আরও দুজনকে উদ্ধার করার পর শরণার্থী ত্রাণ, প্রত্যাবাসন কমিশনারের সরকারি ও জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসির) কার্যালয়ের কাছে হাজির করা হয়। এরপর শিবিরে রোহিঙ্গা দলনেতা (মাঝিদের) মাধ্যমে নতুন আসা আরও দুজনকে বুঝিয়ে (আজ) বৃহস্পতিবার যেকোনো সময়ে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে” হোম কোয়ারেন্টাইন” এ পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারি একজন, ২৫ ফেব্রুয়ারি দুইজন ও ২৭ এপ্রিল দুইজনকে একইভাবে হেফাজতে নেওয়া হয। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারাও মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে টেকনাফে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...

জামিন বাতিল, মহেশখালীর তোফায়েল হত্যা মামলায় ৭ জন কারাগারে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর ...