প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৭ ৮:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৯ পিএম

নিউজ ডেস্ক::

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ভ্যাটের হার কমবে। নতুন আইনে ভ্যাটের হার হবে একটি যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

রোববার বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর সঙ্গে বোরবার বিকালে প্রথম বৈঠক হয়। দ্বিতীয় বৈঠক হয় বাংলাদেশ ইস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ভ্যাট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি বীমা কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন ফি মওকুফ করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হয় ১ জুলাই থেকে। বাজেটে যা ঘোষণা দেয়া হয় তা ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হয়, ডিসেম্বর বা সেপ্টেম্বর থেকে নয়।

ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কোনো দায়িত্ব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘না, নাথিং স্পেশাল। আমিই সব সময় রিপোর্ট করে আসছি। ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া অবহিত করছি।’

তিনি বলেন, ভ্যাট আইন ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। একটু একটু করে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু এটার ওপর হঠাৎ কেন হুমকি? দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হবে কেন বলা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।

ইসলামী ব্যাংক সংক্রান্ত এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই ব্যাংকের বোর্ডে যে সমস্যা চলছে তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ করার মতো এখন পর্যন্ত কোনো কারণ নেই। এটি দেখবে ব্যাংক পরিচালনা বোর্ড। বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য ভালো। সুতরাং সরকারের নথি দেয়ার কিছু নেই।’

ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন নিয়ে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-আইডিবি সম্মেলনে কোনো কথা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন স্বাভাবিক। এনিয়ে নতুন কোনো আলোচনা হয়নি। আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি নিয়ে আইডিবি’র নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।’

আইডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তাদের কাছে। এটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে আইডিবির একটি বিনিয়োগ আছে, সেটি ইসলামী ব্যাংকে। এ বিনিয়োগ তারা তুলে নিচ্ছে।’

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আমার সচিব ছিল, সে দক্ষ। ফলে কোন কারণ সেখানে হস্তক্ষেপ করার? তবে আইডিবি থেকে কোনো অভিযোগ দেয়া হলে, সরকার তখন হস্তক্ষেপ করবে।’

মুহিত বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সৌদি আরবে আইডিবি’র বৈঠক হলেও বাংলাদেশের কোনো একটি কাগজে (পত্রিকা) এ সম্পর্কে একটি কথাও নেই। এটি আমার কাছে আশ্চর্য মনে হয়েছে। কী করে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা হচ্ছে!’

এর আগে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিশেন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বীমা গ্রাহকের বোনাসের ওপর থেকে কর প্রদান অব্যাহতি, বীমা কোম্পানির বার্ষিক নিবন্ধন নবায়ন ফি মওকুফ, স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামকে আয়কর আইনের অধীনে কর অব্যাহতি, এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে উৎস কর রহিতকরণ এবং কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব দেয়।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বীমা নিবন্ধন নবায়ন ফি মওকুফ ও কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর আশ্বাস প্রদান করেন।

এর আগে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে বাজেটকে সামনে রেখে বিনিয়োগ বাড়াতে অবকাঠামো খাতের দুর্বলতা দূর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়।

পাঠকের মতামত