টেকনাফ প্রতিনিধি::
ভাড়াটিয়া ও স্টাফদের দ্বন্দ্বে সেন্টমার্টিন পৌঁছতে পারেনি ৫ শতাধিক যাত্রী। সোমবার সকালে এলসিটি কাজল নামের জাহাজটি সাড়ে ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু বাধ সাধে জাহাজের মাস্টার আলী বশির খান। প্রতিট্রিপে সে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে জাহাজ ছাড়লেও সোমবার কোন টাকা পায়নি সে। তাই কৌশলে সে জাহাজের একটি মেশিন নষ্ট হয়েছে বলে খবর দেয় কর্তৃপক্ষকে। ফলে জাহাজটি ছাড়া হয়নি। এতে করে সাড়ে ৫ যাত্রী সেন্টমার্টিন পৌঁছতে পারেনি। দুপুর ১ টা পর্যন্ত অনেক যাত্রী অপেক্ষা করতে থাকে মেশিন ঠিক করে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওয়ানা করবে এ আশায়। কিন্তু জাহাজটির মূল ভাড়াটিয়া সঞ্চয় বাবু ও উপ ভাড়াটিয়া খোকা, সুমন, আকাশ গংদের সাথে দেনাপাওনা নিয়ে দ্বন্দ্ব লাগে। সেন্টমার্টিন্স পৌছতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকার পর্যটক জাহিদ। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে রুম বুক করা ছিলো, জাহাজের অব্যবস্থাপনার অভাবে আর যাওয়া হলো না। গোটা বছরের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে গেলো। একইভাবে কথা হয় চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার শাহিনের সাথে। তিনি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে আমাদের যাত্রা বাতিল করা হলো। কিন্তু খবর নিয়ে দেখেছি, গত কয়েকদিন এক হাজারেও অধিক যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে এ জাহাজটি। কিন্তু আজকে (সোমবার) কম যাত্রী থাকায় মাস্টার অতিরিক্ত টাকা পাবে না তাই জাহাজটি ছাড়েনি।
এ ব্যাপারে কথা হয়, উপ-ভাড়াটিয়া সুমনের সাথে। তিনি বলেন, জাহাজটির প্রায় ১৩ জন স্টাফের বেতন ২/৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আগের টাকা কেন আমরা দেবো। তাই মূল ভাড়াটিয়া সঞ্জয় বাবু স্টাফদের জাহাজ ছাড়তে নিষেধ করে। যাত্রী দুর্ভোগের ব্যাপারে তিনি জানান, যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তাদের আর করার কিছু ছিল না বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, একটি মেশিন নষ্ট তাই জাহাজটি ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
-