আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার::
বিদ্যুৎ যায়না, মাঝে মাঝে আসে। এমনটিই চলছে কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে। দিন রাতের প্রায় সময় এখানে বিদ্যুৎ না থাকলেও মাঝে মাঝে চমক দেয়ার মত হুট করে এসেই আবার চলে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এরকম খামখেয়ালীপনায় চরম ভেগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১৮ হাজার গ্রাহক। এতে ফ্রিজে রক্ষিত কোরবানীর গোশত বিদ্যুতের অভাবে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে আলুসিদ্ধ হচ্ছেন জনগন। অনেক সময় মোবাইল চার্জ করার মত বিদ্যুত সরবরাহও পাওয়া যাচ্ছেনা।
জালালাবাদ ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহক আবরার হাসান বলেন, কোরবানী ঈদের ২/৩ দিন আগে থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়ে এখন চরম আকার ধারন করেছে। ইসলামাবাদ সিকদার পাড়ার গ্রাহক বাবা হরি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা, কেবলমাত্র মাঝে মাঝে মিসকল দেয়ার মত বিদ্যুৎ এলেও আবার লোডশেডিং শুরু হচ্ছে। বাঁশঘাটার মুল্লুকপুরা ট্রেডিং এর মালিক মুন্সী গিয়াস উদ্দীন মমতাজ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং চরম আকার ধারন করায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য সময় বিদ্যুৎ বিতরনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগও তুলেছেন গ্রাহকরা। তারা বলেন, আবাসিক সংযোগের চেয়ে বানিজ্যিক ও শিল্প সংযোগের বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দাম বেশী হওয়ায় ঈদগাঁও বাজার ও ইসলামপুর শিল্প এলাকায় বেশীর ভাগ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে অন্যান্য এলাকা অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ন্ত্রনাধীন ঈদগাহ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আওতায় সঞ্চালন লাইনগুলোর দ্বারা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাত ইউনিয়ন, রামু উপজেলার ঈদগড় ও রশিদ নগর ইউনিয়ন এবং পার্বত্য বান্দরবান জেলার বাইশারীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে এসব এলাকার বিপুল সংখ্যক গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছে। চলমান লোডশেডিং সম্বন্ধে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঈদগাঁও বিলিং এরিয়া অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ বলেন, বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় প্রতিদিন পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৮ মোগাওয়াট। কিন্তু এর বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪ মেগাওয়াট। এছাড়া কিছু টেকনিক্যাল ফল্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।