প্রকাশিত: ১৯/০২/২০২১ ৯:৫১ এএম

স্বৈরশাসন বিরোধী বিক্ষোভ বন্ধে রাখাইনসহ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনাদের শহরে ফিরিয়ে আনছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বিক্ষোভ দমনে এই সেনাদের ব্যবহার করা হলে রক্তপাত ঘটতে পারে এবং ‘মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটতে পারে’। বুধবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ‘অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষুব্ধ নাগরিকদের’ সংযত করতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছোড়া হয়েছে এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ‘কিছু সূত্র থেকে’ এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, রাখাইনের কিছু জনবহুল এলাকা থেকে সেনাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। এই সেনাদের ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বিদ্রোহ দমনে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেনাদের অভিযানে ওই সময় প্রাণে বাঁচতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
অ্যান্ড্রিউজ বলেন, ‘মিয়ানমারের মানুষ জানে সেনাবাহিনী কী এবং এই জেনারেলরা কী করতে পারবে। তাই সামরিক বাহিনী ও সেনার উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং এই সেনারা কোথা থেকে আসছে তা আমাকে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন করছে।’
তিনি জানান, সেনাবাহিনী অতীতে কী করেছে জানার পরও মিয়ানমারের মানুষ বিশেষ করে তরুণরা এখনও যে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তা ‘উৎসাহব্যঞ্জক’।
জাতিসংঘের এই দূত বলেন, উত্তেজনার মাত্রা অনেক বেশি। মিয়ানমারের জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং তারা পদক্ষেপ দেখতে চায়।

পাঠকের মতামত

থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য চেন্নাইয়ের রাজধানী তামিলনাড়ুতে দেশটির রাজনীতিক ও অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ...

আরসা হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত আরাকান আর্মিপ্রধানের

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ...

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...