প্রকাশিত: ০২/০৮/২০১৭ ৭:১৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৪৯ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
টেকনাফ বাহারছড়ার উত্তর শীলখালীতে এক গরিব জেলে পরিবারকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও কুচক্রী মহলের দ্বারা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য, মোঃ কালু, শাকের আহমেদ, ও লালু জানান আমাদের অন্য এক ভাই আবদু রহমান বেশ কিছু আগে জীবিকার তাগিদে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাই, আর সেখানে তার সাথে ছিল স্থানীয় আরেক জেলে মোঃ দলাইয়া। কিন্তু ভাগ্যক্রমে দলাইয়া সমুদ্রে তীরে ভেসে আসা একটি ইয়াবার ছোট প্যাকেট কুড়িঁয়ে পায়, আর সে ঘরে এসে প্যাকেটটি খুলে দেখলে সেখানে ইয়াবা দেখতে পায়, পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোনা আলী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভেজা ইয়াবা গুলো স্থানীয় শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়িকে হস্তান্তর করে। তারপর কিছু আমাদের এলাকার কুচক্রী মহলরা প্রচার করতে লাগল যে আমাদের ভাই আবদু রহমানের কাছেও নাকি একটি ইয়াবার বস্তা আছে , সে নাকি ইয়াবা গোপন করেছে, তাই পুলিশ আবদু রহমান সহ আমাদের সকলের বাড়িতে অভিযান চালালেও কোনো ইয়াবা উদ্ধার করতে পারেনি, কিন্তু তাতেও থেমে যায়নি এলাকায় আমাদের পারিবারিক দুশমন কিছু লোকের চক্রান্ত, তাই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের কাছে ইয়াবা আছে, আমরা ইয়াবা গোপন করেছি, ইত্যাদি কথা তারা সংবাদ মাধ্যমসহ প্রশাসনের লোকদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে থাকে। এতে আমরা অনেকটা ভীত হয়ে আছি, আমরা গরীব মানুষ, দিনে এনে দিনে খাই, সংসারে কর্তা হিসেবে আমরা একদিন আয় না করলে আমাদের সংসারে ছেলে মেয়েদের উপবাস থাকতে হয়, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, এতে আমরা ভয় পেয়ে আমাদের ভাই আবদু রহমান সহ আমরা কেউ ঘরে রাতে ঘুমাতে পারিনা, আমরা অশিক্ষিত মানুষ, আইন গাইন কিছু বুঝিনা, তাই আমাদের ভয় একটু বেশী, পুলিশ দেখলে আমাদের অনেক ভয় লাগে, তাই আমরা এই দূর্দশা থেকে পরিত্রান পেতে চাই, আমরা আমাদের জীবিহা নির্বাহের জন্য অনেক দিনের জেলে পেশাকে স্বাধীন ভাবে করতে চাই, যাতে ঐ মিথ্যা ইয়াবার ব্যাপারে যেন আমাদের আর কেউ হয়রানি ও ভয় না দেখায়, যদি এমন কিছু হয় তাহলে আমরা কোনো আয় রোজগার করতে না পারলে আমাদের ছেলে মেয়েরা না খেয়ে মরবে, তাতে আমরা দুঃখ পেয়ে আত্নহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পদ থাকবেনা। আমরা গরীব মানুষ, আমরা এই মিথ্যা বানোয়াট একটি বিষয়ের হয়রানি থেকে পরিত্রান পেতে চাই, তাই আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতায় এই মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি থেকে পরিত্রান দেওয়া জন্য প্রশাসনের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের সাহায্য ও হস্তক্ষেপ কামনা করি, এবং জাতির বিবেক সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রার্থনা করি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...