প্রকাশিত: ০৭/০২/২০১৭ ১০:৩৫ পিএম

গোলাম মওলা, রামু::

বিলুপ্তির পথে বাংলার জাতীয় পাখি দোয়েল।এক সময় আমাদের গ্রামমগঞ্জের মাঠে-ঘাটে, বনে-জঙ্গলে, গাছে গাছে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ নানা ধরনের পাখি দেখা গেলেও কালের আবর্তে এখন আর চিরচেনা সেই পাখি গুলো দেখা যায় না, পাখিদের কলরবে মুখর গ্রামের মেঠো পথ এখন পাখি শূন্য হতে চলছে।

কয়েক বছর আগেও মানুষের ঘুম ভাঙতো পাখির ডাকে। তখন বোঝা যেতো ভোর হয়েছে। পাখির কলকাকলীই বলে দিতো এখন সকাল, শুরু হক দৈনেন্দিন কর্মব্যস্থতা। কিন্তু এখন যেন সেই পাখির ডাক হারিয়ে গেছে, এখন আর গাছ গাছালিতে পাখির ডাক নেই।

বনে জঙ্গলে গাছে পাখি দেখার সেই অপরুপ দশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে।বর্তমানে দুষ্কর হয়ে পড়েছে পাখির দেখা। বনাঞ্চলের পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জমিতে কিটনাশকের ব্যবহার, পাখির বিচরণ ক্ষেত্র ও খাদ্য সংকট আর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বিলুপ্তির পথে দোয়েলসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি।

দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত সেসব পাখিগুলোর ডাক ও সুর মানুষকে মুগ্ধ করতো সেই পাখিই ক্রমান্বই হারিয়ে যেতে বসেছে।

বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দোয়েল পাখির অবস্থান রয়েছে তবে বাংলাদেশে পাখিটি সংখ্যায় বেশী দেখা যায়। বাংলাদেশের জাতীয়তার সঙ্গে মিল রয়েছে বলে এটিকে জাতীয় পাখি দোয়েল বলে। আগেকার দিনের মত বেশী পাখি দেখা না গেলে ও গ্রামবাংলার সর্বত্রই কিছু দোয়েল দেখা যায়।

মনের আনন্দে নানা রকম সুর তোলে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল পাখিটি সবার কাছে সুপরিচিত। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে খাবারের খোঁজে বের হয় পুরুষ দোয়েল, খাবার পেলে স্ত্রী পাখিটিকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে। তবে স্ত্রী দোয়েলও পুরুষ পাখিটির উপস্থিতিতে ডাকতে থাকে।

বাংলার জাতীয় পাখি বলে দোয়েলকে টাকায় এবং ছোটদের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে ছবি থাকার ফলে দোয়েল সবর্ত্র খুব পরিচিত একটি পাখি। পাখি শিকারিরাও এ জাতীয় পাখিটিকে সহজে আঘাত করেনা।বাংলার সাধারণ মানুষেরা পাখিটিকে খুবই ভালবাসেন। সকাল অথবা বিকেল বেলায় বাগান বাড়ির আগিনায় এসে এরা মিষ্টি শিসের সুরে গান পরিবেশন করে সে সুরের মূর্ছনা শোনা যায় অনেক দূর থেকে। ছেলে ও মেয়ে পাখি দেখতে দু ধরনের হয় । ছেলে পাখি সাদা ও কালো রঙের হয়, মাথাটা কালো হয়, সকাল ও বিকেল বেলায় লেজ নাচিয়ে শিস দেয় । মেয়ে পাখির মাথাটা হালকা বাদামী বা হালকা কালো রঙের হয় । মাটিতে খুঁটে খুঁটে ছোট ছোট পোকামাকড় খায় । এরা এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ঘাস, ছোট গাছের ডাল দিয়ে বাসা বাঁধে ।আমাদের গ্রামের লোকেরা বলে গ্রীষ্ম কালে খরা মৌসুমে চারিদিকে পানির জন্য মানুষ পশু পাখিরা হাহাকার তখন এ দোয়েল পাখিরা গানের সুরে বৃষ্টির জন্য ডাক দেয়।আমাদের ভাষায় দোয়েল পাখিকে(ডিয়ল পাইখ) বলে ডাকি।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...