সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের (বালুখালী-ঘুমধুম) প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফ ও নুরুল ইসলাম মিলনের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।এছাড়া পাঁচটি আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত আছে বলেও সংসদকে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সড়ক বিভাগের অধীন বর্ডার রোড নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এই সড়কের দুই কিলোমিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্পটির কাজ ২০১৫ সালের জুন মাসের আরাম্ভ হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়কটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন।
নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে মহাসড়ক পথে যোগাযোগ আছে। বিআরটিসির উদ্যোগে বাস নিয়মিত ভারতে বিভিন্ন রুটে আসা-যাওয়া করে থাকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক যোগাযোগে মহাসড়ক নেটওয়ার্ক সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে পাঁচটি আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত।
উদ্যোগগুলো হলো- এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপরাশেন (সাসেক), বাংলাদেশ-চায়না-ইনডিয়া মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর (বিসিআইএম-ইসি), সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপরাশেন (সার্ক), বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) এবং বাংলাদেশ-চায়না-ইনডিয়া- নেপাল (বিবিআইএন) মটর ভেহিক্যালস এগ্রিমেন্ট (এমভিএ)।
তিনি বলেন, বিবিআইএন রুটের মাধ্যমে এ যোগাযোগ ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যত মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত এ যোগাযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।