উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি থাকবে না। জঙ্গিরা রেহাই পাবে না। জঙ্গিরা কে, কোথায় বাস করে সবাই তা খেয়াল রাখবেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ এলাকায় কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী আছে কি না, সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। যে দেশে কোনো দারিদ্র্যতা থাকবে না, মানুষ খাদ্যে কষ্ট পাবে না। ভাত-কাপড়ের অভাব হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ২০২০ সালে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। আর ২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি পালন করবো, তখন এই বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ ও মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ। এভাবেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, বিশ্বের বহু স্বাধীন দেশ আছে যেখান থেকে শত বছরেও মিত্র বাহিনী ফেরত যায়নি। বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তিন মাসের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী মিত্র বাহিনীকে ফেরত নিয়েছিলেন।
শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমাম, ওলামায়ে কেরামসহ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও ছেলেমেয়ে যেন এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। সম্পৃক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজের সন্তানের খবর রাখতে হবে। তারা কোথায় যায়? কার সঙ্গে মেশে? কী করে? মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজ নিজ সন্তান যেন দূরে থাকে, তারা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়; ভবিষ্যতে এই দেশ পরিচালনার মতো উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে, এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ বক্তব্য দেন।