
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
এই দাবিতে বুধবার (১০ই আগষ্ট) কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগ বলেছে, “দন্ড-প্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফাঁসি হয়ে যাওয়ার এত বছর পরও, দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ ও চিন্তিত। তাই আমাদের বিশ্বাস দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের স্বঘোষিত খুনীদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়। ”
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তখনকার জেলা ও দায়রা জজ ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মৃত্যুদণ্ড দেন৷ আপিলের রায়ে তিনজন খালাস পান৷ বাকি ১২ জনের মধ্যে আজিজ পাশা পলাতক থাকা অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান বলে খবর বের হয়৷
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয় ঢাকার কারাগারে৷ সেসময় পলাতক ছিলেন ছয়জন৷
১০ বছর পর ২০২০ সালে ৭ এপ্রিল ভোরে পলাতকদের একজন ৭২ বছর বয়সি মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বাকি পাঁচজনের একজন রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ভারতে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছেন এমন সংবাদ বের হলেও তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি৷
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয়জনের এখন পর্যন্ত ফাঁসি হয়েছে৷ বাকি আছেন আরো পাঁচজন৷ তারা হলেন আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী৷ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী ক্যানাডায় অবস্থান করছেন৷
পাঠকের মতামত