UkhiyaNews.Com
প্রকাশিত: ২৩/০৮/২০২৪ ২:৩৪ পিএম , আপডেট: ২৩/০৮/২০২৪ ২:৩৯ পিএম

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বর্তমানে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। এতে কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। অনেক শাখা সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা। গেল পাঁচদিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়। সরকার পতনের পর কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা হয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ১৮ আগস্ট তা ছিল ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গতকাল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ কোটিতে নেমেছে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা।

এর আগে সরকার পতনের পরদিন গত ৬ আগস্ট কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। আর সরকার পরিবর্তনের পর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।

জানা গেছে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্জিত অর্থ নানা উপায়ে অনেকেই ঘরে রেখেছিলেন। তবে সরকার পরিবর্তনের পর তাদের বেশির ভাগই পলাতক থাকায় ঘরে টাকা রেখে তাদের কেউ কেউ এখন বিপদে আছেন। নিরাপদ বোধ না করায় বিভিন্ন উপায়ে তারা ভালো ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন।

আবার সরকার পতনের পর থেকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না মানুষ। এর কারণ, সরকার পতনের প্রথম সপ্তাহে দিনে সর্বোচ্চ এক লাখ, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই লাখ এবং তৃতীয় সপ্তাহে তিন লাখ টাকা নগদ উত্তোলনের সীমা বেধে দেয়া হয়। এ কারণে খারাপ অবস্থার ব্যাংক থেকে অনেকেই বড় অঙ্কের আমানত তুলতে পারছে না। বিশেষ করে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, বাংলাদেশ কমার্স ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের পে-অর্ডার নগদায়নের অপেক্ষায় রয়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কারফিউর কারণে ব্যাংক থেকে অনেকেই টাকা তুলে নিচ্ছিল। এখন স্থিতিশীলতা ফেরায় ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। আবার বাসায় টাকা রাখা অনেকেই নিরাপদ মনে করছে না। ব্যাংকগুলোও আমানত বাড়াতে প্রচুর চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে আবার টাকা ফিরতে শুরু করেছে

পাঠকের মতামত

ডিউটি পোস্টে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না: আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধান পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ...

২৯৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত, কক্সবাজারে ফারুক , আযাদ, বাহাদুর, আনোয়ারী

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ...

ড. ইউনূস ও গর্ডন ব্রাউনের ফোনালাপ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে গুরুত্ব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে টেলিফোনে ...

রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, ইউনূস-তারেক বৈঠকে সিদ্ধান্ত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ...

রোহিঙ্গারা সবকিছু বিনামূল্যে পাচ্ছে, আর স্থানীয়রা সংগ্রাম করে জীবন চালিয়ে যাচ্ছে

ধবার লন্ডনের প্রভাবশালী নীতিগত গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. ...