ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খেলেন আলোচিত সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার হিরো আলম
ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খেলেন আলোচিত সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার হিরো আলম
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় দেশের রাজনৈতিক নেতা ও অভিনেতাদের আপ্যায়ন করা হয় যা দেশের টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়। এবার ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খেলেন আলোচিত সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে দুই সহযোগীসহ রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম খাবার খেয়েছেন। এর একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যসহ নানা মাধ্যমে। এতে প্লেটে ভাত নিয়ে খেতে দেখা যাচ্ছে হিরো আলমকে। বড় টেবিলে তার সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন।
তখন ধারণ করা একটি ভিডিও ক্লিপে মধ্যাহ্নভোজ করতে দেখা যায় হিরো আলমকে। ভিডিও ক্লিপে তাকে বলতে দেখা গেছে, এটা ঠিক না। দু’রকম খাবার দিচ্ছেন, ঠিক নাকি? অপু আসলে অনেক খাবার দিছেন, নেতা আসলে অনেক কিছু খেতে দিছেন। আমাদের খালি আলু ভর্তা, ডাল, ভাজি দিছেন। এ সময় হিরো আলমের সঙ্গীরা তার কথায় সায় জানান।
সম্প্রতি মিন্টোরোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে এসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ওইদিন খেয়েছিলেন সুড়ঙ্গ সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ আরও কয়েকজনও। এরপর খাবার দুপুরের খাবার খেয়ে এসেছেন গয়েশ্বরের বেয়াই ও নিতাই রায় চৌধুরীও।
এবার ওই কার্যালয়ে গিয়ে ডিবির প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের আতিথ্য গ্রহণ করেছেন ইউটিউবার ও ঢাকা-১৭ আসনে এমপি পদে লড়ে পরজিত হওয়া হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল করে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদার টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার শঙ্কা বিবেচনায় গতরাতেই (১২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু হুমকিদাতা গ্রেপ্তার হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাতিরঝিল থানা পুলিশ। আমি কয়েকবার ফোন করলেও তারা আমার ফোন ধরেনি। তাই বিষয়টি জানাতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি ডিবিপ্রধান হারুন ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। আমার দাবি হলো, এ অভিযোগ ডিবি তদন্ত করুক।