প্রকাশিত: ১৩/০৯/২০১৭ ৭:৪৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৮ পিএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ::
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূণ্যরেখায় মিয়ানমার সরকার কর্তৃক মাটিতে পুঁতে রাখা বোমার (ইমপ্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি) বিষ্ফোরণে আরও এক রোহিঙ্গার পাশাপাশি বাংলাদেশি এক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। আইইডি বিষ্ফোরণে প্রাণ হারোনা রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোক্তার আহমদ (৩৮)। আর তার বাবা হলেন মিয়ানমারের ফকিরা বাজার এলাকার আবদুছ সালাম। অপরজন হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে হাশেম উল্লাহ (৩৫)। এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে একই ঘটনায় তিন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিষ্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক মোক্তারের ডান পায়ের তালু উড়ে গেছে এবং বাম পা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাত সাড়ে বারোটায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে বড়ছনখোলা ভিতরের ছড়া সীমান্তে ত্রাণ দিয়ে গিয়ে শূণ্যরেখায় যাওয়ায় বিষ্ফোরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হাশেম। তাঁর লাশ সীমান্তে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে পরিবারের ছয় সদস্যসহ আশ্রয় নিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আশারতলী প্রবেশ পথের শূণ্য রেখায় পুতে রাখা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর স্থল মাইন বিষ্ফোরণে মোক্তার আহমদের ডান পায়ের তালু উড়ে যায় এবং বাম পা ক্ষত-বিক্ষত হয়। স্বজনরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার সালমান করিম খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...