প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০১৭ ১১:০৬ এএম

নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারে বেড়েই চলেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা। বিভিন্ন পেশায় জড়িত এমন লোকজনও জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় অনেকেই গোপনে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরা পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকলেও দিনের যেকোন এক সময় প্রভাবশালী নেতাদের হাজিরা দিয়েই নিজেকে স্বচ্ছ রাজনৈতিক কর্মী বলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নেজাম উদ্দিন ঢাকায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়।
কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য নতুন ইয়াবা ব্যবসায়ি। কেউ কল্পনাও করবে না এমন লোকজন জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা ব্যবসায়। এতে রয়েছে রাজনৈতিক কর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরে এমন কিছু লোক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তাদের নাম বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। এমনকি প্রশাসনের লোকজনও তা বিশ্বাস করবে না। মুলত তাদের মাধ্যমেই পাচার হচ্ছে ইয়াবার বড়-বড় চালান। তারা সরকার দলীয় এমপি ও নেতাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে। তাদের সাথে ফটোসেশন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেই নিজেদের ব্যবসা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের লোকজনের সামনে নিজেদের সাংসদ কিংবা নেতাদের আস্থাভাজন হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পেশার লোকজন। সম্প্রতি জেলা যুবদলের এক নেতা এক লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সর্বত্র কানাঘোষা চলছে এ ব্যবসায় আর কারা জড়িত। ইতোমধ্যে কয়েকজন পেশাজীবী পর্দার অন্তরালে চলে গেছেন। আলোচিত হচ্ছে বর্তমানে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়তকারী আরো কয়েকজন এ ব্যবসায় জড়িত।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের একজন মধ্যম সারির নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এভাবে গোপনে কারা ইয়াবা ব্যবসা করছেন তা কারো অজানা নয়। সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষনেতাদের আশপাশে ঘুরঘুর করে এমন অন্তত ১ ডজন লোক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা সর্তক না হলে যেকোন সময় তাদেরও দুর্নামের ভাগিদার হতে হবে। যারা এ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে তারা মোক্ষম সময়েই সাংসদ কিংবা নেতাদের সামনে হাজিরা দেয়।
এদিকে ইয়াবার আগ্রাসনের কারণে নিজেদের সন্তান নিয়েও চিন্তিত অভিভাবকরা। লেখা পড়া কিংবা শহরে চাকরি করছেন এমন ছেলেদের নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন অভিভাবকরা।
এতে অভিভাবকরা যেমন শংকিত তাদের সন্তানদের নিয়ে, তেমনি দেশের সচেতন প্রত্যেক মানুষ অজানা এক আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অথচ মাদকের বিস্তার রোধে কার্যকর কোন উদ্যোগই নেই। মাঝে মাঝে দু-একজন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও এ ব্যসার মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন,কোন অপরাধীই ছাড় পাবে না। কারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুত্র:দৈ: কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...