[caption id="attachment_18129" align="alignleft" width="800"]
‘রান ফর হেলদি বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় দৌড় শুরু করেছেন তিন তরুণ—সামশুজ্জামান আরাফাত, প্রীতিশ বড়ুয়া ও ইমতিয়াজ আলম (ছবিতে নেই)। তাঁরা ১৮ ফেব্রুয়ারি এসে পৌঁছান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। ছবিটি ওই দিন বিকেলে লোহাগাড়ার বটতলী এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো‘রান ফর হেলদি বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় দৌড় শুরু করেছেন তিন তরুণ—সামশুজ্জামান আরাফাত, প্রীতিশ বড়ুয়া ও ইমতিয়াজ আলম (ছবিতে নেই)। তাঁরা ১৮ ফেব্রুয়ারি এসে পৌঁছান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। ছবিটি ওই দিন বিকেলে লোহাগাড়ার বটতলী এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো[/caption]
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে দৌড়াচ্ছেন তিন তরুণ। উদ্দেশ্য দৌড়ানোর সুফল সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ। ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে দৌড়াতে শুরু করে তাঁরা ১৮ ফেব্রুয়ারি এসে পেঁৗছান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়।
অভিযানে অংশ নেওয়া এই তিন তরুণ হলেন সামশুজ্জামান আরাফাত, প্রীতিশ বড়ুয়া ও ইমতিয়াজ আলম। এঁদের মধ্যে সামশুজ্জামান ও প্রীতিশ বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এবং ইমতিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।।
লোহাগাড়ায় পেঁৗছে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিন তরুণ। তাঁরা জানান, আগামী ১ মার্চের মধ্যে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় পৌঁছানোর কথা তাঁদের। মানুষজনকে স্বাস্থ্যসচেতন করতেই তাঁদের এই অভিযান। এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করছে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। দলের অন্যতম সদস্য সামশুজ্জামানের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর গ্রামে। তিনি ‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রানের’ সদস্য। ইতিমধ্যে দুইবার টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল অতিক্রম করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথনেও অংশ নেন।
শামশুজ্জামান বলেন, একজন সুস্থ মানুষই পারে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা রাখতে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি সুস্থ থাকে, তবেই দেশের উন্নতি হবে। এ জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা দৌড়ালেই একজন মানুষ রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এতে কর্মক্ষমতাও বাড়বে। এসব অভ্যাস গড়ে উঠলেই মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি করা সম্ভব। মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ দেশের তরুণ প্রজন্মসহ অন্যদের সচেতন করতেই তঁার এ প্রচেষ্টা বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, ‘রান ফর হেলদি বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় দৌড় শুরু করেছেন তাঁরা। দলের অপর সদস্য প্রীতিশ বড়ুয়া বলেন, সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন কর্মক্ষম সুস্থ মানুষ। শরীর সুস্থ থাকলেই একজন ব্যক্তি কাজে পূর্ণ শ্রম বিনিয়োগ করতে পারে। ফলে প্রতিদিন দৌড়ানের অভ্যাস থাকলেই মানুষ নানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।