প্রকাশিত: ০৭/০৫/২০১৭ ৮:৪৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক: ঊনিশশো নব্বইয়ের দশক ধরে কক্সবাজার ভ্রমণকারীরা সমুদ্র সৈকতের তীর ধরে নির্মাণাধীন যে পাকা সড়কটি দেখে আসছেন, অবশেষে সেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে দেশের শেষ প্রান্ত টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভ আজ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বলা হচ্ছে, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত জুড়ে থাকা এই রাস্তাটিই এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ। এর শুরুটা হয়েছিল কক্সবাজারকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্য করে তোলার উদ্দেশ্যেই। একই উদ্দেশ্যে সম্প্রসারণ করা হয়েছে কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়েও।

শনিবার প্রথম অবতরণ করল আন্তর্জাতিক গন্তব্যে চলাচল করা একটি বোয়িং বিমান। এটিতে করেই শেখ হাসিনা শহরটিতে পৌঁছান। পরে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করারও। এমনিতেই জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হবার মত যথেষ্ট বৈশিষ্ট্য কক্সবাজারের রয়েছে।

তার উপর নানা রকম উন্নয়ন পরিকল্পনা সবসময়েই লেগেই আছে কক্সবাজারকে ঘিরে। বলা যায় বাংলাদেশে পর্যটন খাত নিয়ে যাবতীয় চিন্তা, পরিকল্পনা, ব্যয় – সব হয় কক্সবাজার কেন্দ্র করেই। এমনকি গত বছর প্রায় পুরোটা জুড়েই বাংলাদেশে যে পর্যটন বর্ষ পালন করা হয় তার কেন্দ্রবিন্দুতেও ছিল এই কক্সবাজার। কিন্তু তাতেও বিদেশী পর্যটকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন কই?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘টুরিস্টরা কিন্তু ঘুমাতে আসে না। তারা যেটা চায়, সারাদিন ঘুরবে বেড়াবে, সন্ধ্যের সময় কিছু অ্যামিউজমেন্ট করবে। এই জায়গায় প্রচণ্ড ঘাটতি আছে।’

‘এর থেকেও কম অবকাঠামো সুবিধা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে পৃথিবীর অনেক দেশে,’ বলেন অধ্যাপক আহমেদ। এই ব্যাপারটি উপলব্ধি না করবার জন্য তিনি দায়ী করছেন সরকারি নীতি নির্ধারক ও ট্যুর অপারেটর কোম্পানিগুলোকে।

কিন্তু ট্যুর অপারেটররা বলছেন, ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই পর্যটক-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা যাচ্ছে না ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে। কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসী এমএম সাদেক লাবু, যিনি নিজেও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের একজন নেতা, তিনি বলেছেন, ‘বিদেশিরা যে ধরনের সুবিধা চায় সেগুলো আমরা দিতে পারি না। যেমন ধরেন তারা বিকিনি পরে সমুদ্রে নামতে পারবে, মুক্তভাবে চলাফেরা করবে, তারা নিরাপদ এলাকা চায়, এই জিনিসগুলো আমরা এখনো দিতে পারিনি।’

মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় নাইট লাইফ বা পর্যটকদের জন্য নিশিযাপন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। অবশ্য এজন্য সরকার কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট জোন বা বিদেশী পর্যটক-বান্ধব এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মজিব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদ্যমান ধর্মীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে আইনের মধ্য থেকেও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশী পর্যটন গন্তব্যগুলোতে নিশিযাপন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। সেখানে দেশীয় ফোক ও বাউল সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে পরামর্শ অধ্যাপক আহমেদ। এসব করে কিছু কিছু ট্যুর অপারেটর সাফল্যও পেয়েছে বলে উল্লেখ করছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন উখিয়ার ডাঃ এ.এইচ. সুমন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সদ্য প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-পেডিক) ডাঃ ...

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...