থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা ছ’টার পর উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব মদের বার বন্ধ থাকবে। বড় দিন উদযাপন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন উদযাপন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা নিয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ থাকবে। যদি কেউ ইনডোরে কোনো অনুষ্ঠান করতে চান, তাহলে আগে থেকেই পুলিশকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে কোনো আতশবাজিও ছোড়া যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতি উৎসাহী যুবকরা আইনশৃঙ্খলা মানতে চায় না। এ কারণেই ওই রাতকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিনে গির্জাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সারা দেশে ৬২টি গির্জাসহ ঢাকায় মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের বড় তিন গির্জায় বিশেষ নজর রাখা হবে। সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান পালন নিষেধ মানুষের জন্য কোনো বাধা কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আবুল হোসেন, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ-১ এর সংসদ সদস্য জুয়েল আরেংসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।