প্রকাশিত: ২৬/০১/২০২০ ১১:৪৯ এএম

পশ্চিম তুরস্কের এলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহত দুই ব্যক্তির জানাজার পর তাদের মরদেহ কাঁধে নিয়ে কবরে নিয়ে যেতে দেখা গেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে।

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেঁচে থাকা লোকজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির উদ্ধারকর্মীরা।-খবর এএফপি, আনাদলু এজেন্সি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয় দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পটি হয়েছে। এলাজিগের লেকের পাশের ছোট্ট শহর সিভরিসেই এই ভূকম্পের উৎসস্থল। প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পে রাজধানী আঙ্কারার সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পূর্বের প্রদেশটিতেই ১৩ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফারেতিন কোসা বলেন, এলাজিগের পার্শ্ববর্তী মালাতিয়া প্রদেশে প্রাণ গেছে আরও ৫ জনের।

উদ্ধার অভিযান তদারকি করতে ফারেতিনের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও প্রদেশ দুটিতে ছুটে যান।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৩০ জনের খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ভূমিকম্পে পাঁচশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলিমান সোইলু জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটিতে এলাজিগের আংশিক ধ্বসে পড়া একটি ভবনের ভেতর পুলিশ ও জরুরি বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার অভিযান চালানোর ফুটেজ দেখানো হয়েছে।

ধ্বসে পড়া অন্য একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খালি হাতেই ইট-সুরকি সরাচ্ছে। অন্যান্য এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরাতে জরুরি বিভাগের কর্মীদের ড্রিল মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

তুরস্কে এর আগেও বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের অগাস্টে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

২০১১ সালে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভান ও এরসিসে অন্য এক ভূমিকম্প অন্তত ৫২৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।

পাঠকের মতামত

আরসা হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত আরাকান আর্মিপ্রধানের

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ...

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...