
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখায় আগুনে বসতঘর হারিয়ে তুমব্রু বাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।রোববার (২৯ জানুয়ারি) এ গণনা কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শফিক।
তিনি বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাই তিনি গণনাকারীদের নিয়ে এ কাজ শুরু করেছেন। রোববার সকাল থেকে এসব আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ও তাদের পরিবার সংখ্যা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ৮ গণনাকারীকে দিয়ে গণনার কাজ শুরু করেছেন। সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছেন ১ মেম্বারকে। তারা প্রথম দিনে ৩’শত পরিবার গণনা করেছেন। যাতে প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য পাওয়া গেছে। বাকীদেকে সোমবার গণনা করা হবে। ২ দিনের পরিসংখ্যানের পর কত রোহিঙ্গা তুমব্রুতে অবস্থান করছেন তা জানা যাবে।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ আরো বলেন, এসব রোহিঙ্গা তাদের জন্যে বিষফোঁড়া। যত তাড়াতাড়ি তারা স্বদেশে ফিরে যাবে ততই কল্যাণ হবে। কারণ, রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করছে।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।
পাঠকের মতামত