সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
টেকনাফের হাইওয়ে সড়কে এবং বিভিন্ন অলিতে গলিতে প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে কম বয়সি ও অদক্ষ চালকদের হাতে নানান ধরনের যানবাহন। এসব দেখার কেউ না থাকায় এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব টমটম নামের যানবাহনের অধিকাংশটিতেই লাইসেন্স বীহিন বললেই চলে। এতে বিভিন্ন বাজার এলাকায় নির্দিষ্ট গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা না থাকার ফলে যত্রতত্র স্থানে যানযটের শীকার হয়।জানা যায় বৃহত্তর টেকনাফের হোয়াইক্যং,হ্নীলা,বাহারছড়া,সাবরাং,টেকনাফ সদরের এই ইউনিয়নগুলির বিভিন গ্রামীণ সড়কের হরদম চলাচল করছে হরেক রকম ব্রান্ডের টমটম ও অটো রিকসাসহ নানান যানবাহন চালানোর কাজে অল্প বয়সী অদক্ষ চালকদের ছড়াছড়ি। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালালেও পরক্ষনে একই কায়দায়ে এসে পড়ে এসব চালকরা। সেই সাথে হোয়াইক্যং বাজারের বিভিন্ন অলিতে গলিতে এই সব আনাডি চালকদের কারণে যত্রতত্র স্থানে যানযটের পরিনত করে তুলছে। আবার বৃহত্তর টেকনাফে কোন না কোন স্থানে যাত্রীরা ছোট বড় দুর্ঘটনার শীকার হচ্ছে যাত্রীরা অন্যেদিকে ছয় ইউনিয়নের গ্রামীন যাতায়েত সড়ক ছাড়া ও মহাসড়কে অল্প বয়সি অদক্ষ চালকরাই চালাচ্ছে টমটম সহ নানা যানবাহন। যাতে করে দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বড় বাসের সাথে ধাক্কা লেগে টমটম সহ যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা কিন্তু অসংখ্য।তবে সচেতন মহলের মতে, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেনীর লেখাপড়া শেষ হতে না হতেই পরিবারে আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পরিবারে কর্তারা তাদের ছেলেদের অনেক ক্ষেত্রেও কাজে ব্যবহার করছে। শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নত লাভ করতে পারে না। তাই অল্প বয়সি পরিবারে কর্তা ব্যক্তিরা যদি এই ভাবে ছেলেদের রাস্থায় নামিয়ে দেয়, তাদের পরিবার ভবিষ্যত অন্ধকার বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে অল্প বয়সী টমটম চালক মামুন, সোহেল, ইসমাঈলের মতে পরিবারে মা বাবা ভাই বোনদের বরণ পোষনের লক্ষে এই যাবাহন চালানোর কাজে নিয়োজিত হয়েছি। লেখাপড়া কতদুর জানতে চাইলে তারা হেসেঁ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সব কোমলমতি শিশু কিংবা অল্প বয়সি ছেলেদের যদি যানবাহ চালানোর কাজ থেকে ফিরিয়ে এনে সেমিনার সিম্পুজিয়ামসহ নানান মিটিংয়ের মাধ্যমে লেখাপড়া প্রতি মনোযোগী করতে পারে তাদের মঙ্গল হবে এটা নিশ্চিত।