ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৩/০৪/২০২৫ ৯:৫৯ পিএম

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা,সাবেক এম পি আবদূর রহমান বদির ক্যাশিয়ার ও পিএস নজরুল এখনো বহাল তবিয়তে। এলাকায় বনভোজন, সভা সেমিনারে তাকে খুবই চমৎকার খুশিতে দেখা যায়।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণীর সুবিধাভোগী। এলাকার অসংখ্য মানুষের সাথে জমি বিক্রির নামে প্রতারণা, ভুয়া দলিল, সরকারি লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো, মসজিদ মাদ্রাসার কমিটি দখল, নিজের স্ত্রীকে হত্যা সহ অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত এ নজরুল ইসলাম।
সরজমিনে পরিদর্শনে জানা যায় এলাকার অনেক মানুষ তার নির্যাতন, ভয় ভীতি ও জমি প্রতারণা থেকে এখনো রক্ষা পাইনি।
আওয়ামী লীগের চরম দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তি পাইনি নজরুলের দূঃশ্বাসন থেকে।
নজরুলের আতঙ্কে এখনো দিনাতিপাত করছে অসংখ্য মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে জানান, নজরুল জমি বিক্রির টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে না। এক জমি কয়েকজনকে বিক্রি করার অভিযোগ অহরহ। মিঠা পানির ছড়া এলাকায় নজরুলের জমি বললে কেউ কিনতে চাইনা, কারণ এক জমি কয়েকবার করে কয়েকজনকে গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে। হাবির ছড়া এলাকার হাজী বশির আহমদ, মিঠাপানির ছড়া এলাকার হাজী নুরুল হক, প্রকাশ ক্ইল্ল্যাচিরনী হাজী আব্দুস সালাম, হাতিয়ার গুনা এলাকার হাফেজ নুরুল হকসহ আরো কয়েকজনকে জমি বিক্রয় করেছে টাকাও নিয়েছে । তাদেরকে জমি বুঝে না দিয়ে উল্টো আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নজরুল ।

মিটা পানির ছড়ার বড় মাদ্রাসা ও মসজিদের কমিটির নিয়ন্ত্রণ এখনো তার হাতে। আওয়ামী লীগের ধূসরদের দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের লেবার সিন্ডিকেটের প্রধান নজরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন । ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শাসকের বিদায়ের পর থেকে টেকনাফের বন্দরের স্বৈরাচার নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন আত্নগোপনে থাকার পর অবশেষে একটি রাজনৈতিক দলের ইশারায় আবার এলাকায় অবস্থান করছেন। গত কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক দলের লিডারের হাত ধরে এলাকায় ঘরোয়া মিটিংসহ রাজনৈতিক শোডাউনে অংশগ্রহণ করেছেন।
নতুন দলের টিকেট নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল, এমন আলোচনা লোকের মুখে শোনা যাচ্ছে।
টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ থেকে উমরার নামে সৌদি আরব পাড়ি জামান। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মিঠা পানি ছাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাজী নজির আহমেদের পুত্র নজরুল ইসলামের দাপটে এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত থাকতো। টেকনাফের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান বদির ক্যাশিয়ার, পি এস ও ডান হাত খ্যাত নজরুল ইসলামের দুই ছেলে ইয়াবা ও সাগর দিয়ে মানব পাচার করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
নজরুলের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থাকলেও থানায় কোন মামলা নেই। তৎকালীন বদির প্রভাব খাটিয়ে থানায় স্ত্রী হত্যার মামলা হওয়া থেকে বেঁচে যান নজরুল। নজরুলের কু চরিত্র, মাদকাসক্তি ও চরম নির্যাতনে স্ত্রীর অকাল ফাঁসি খেয়ে মৃত্যু ঘটে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
নজরুলের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও এমপি বদির ধমকি হুমকির সম্মুখীন হতো। প্রভাবশালী এমপি বদির আস্থাবাজন হওয়ার সুযোগে এলাকায় চরম নৈরাজ্য ও প্রভাববিস্তার করেছিল । তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখাতে পারেনি কেউ। নজরুল ইসলাম টেকনাফ স্থলবন্দরের লেবার সিন্ডিকেটের প্রধান হয়ে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক বলে যান। টেকনাফ স্থল বন্দরের বৈধ ব্যবসায়ীদের সরিয়ে সুবিধা জনক অবস্থান তৈরি করে নেন নজরুল সিন্ডিকেট। এক নজরুল ও তার ধূসরদের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর এর বৈধ ব্যবসায়ীরা পথে বসেছে। দুদকের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ নজরুলের সম্পদের হিসাব বিবরণী তলব করা ও থাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে যৌথবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন ও র‍্যাবের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী অসহায় জনসাধারণ।

পাঠকের মতামত

পাহাড়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে গেল উখিয়ার মেহরাব

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফাত্রাঝিড়ি ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানির প্রবল স্রোতে ...