
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদশা মিয়াকে (৪৬) ইয়াবাসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। এতে সড়কের উভয় পাশে দুই শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ১০টায়) সড়কে অবরোধ চলছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সড়ক অবরোধ করে রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিরা যাতে সড়কের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন, সে জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। সড়কে টায়ার, কাঠ আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
আটক বাদশা মিয়া হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারের বাসিন্দা নূর হোসেনের ছেলে। তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। তবে তাঁকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফজল কবির। তাঁকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইউপি সদস্য বাদশা মিয়াকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর লোকজন টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এতে উভয় পাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক লোকজন।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার সার্কেলের পরিদর্শক নুরুল আলম বলেন, ইয়াবাসহ বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে (রাত সাড়ে আটটা) পর্যন্ত সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত