প্রকাশিত: ১০/০৮/২০১৭ ১০:৫৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৩ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে কাউন্সিলর কহিনূরের স্বামী শাহ আলম কে অবশেষ কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। টেকনাফ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়ার বাড়িতে স্বশস্ত্র হামলার পর শাহ আলম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় গত ৩০ জুলাই মামলা দ…ায়ের করেন। টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-৭৫/৬৩১,তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৭। গতকাল বুধবার এ মামলায় আদালতে আত্ব সমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মন্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
তার বিরুদ্ধে জিআর-১১১ তারিখ ২০মার্চ ২০১৪,জিআর-৪০/৬৪-তাঃ ১১/০৮/১৪, টেকনাফ থানা এফ.আই.আর নং-১২ তাঃ ৫ইজুন-২০১৩, জিআর-১৯ তাঃ ১৪ জানুয়ারী-২০১৪, টেকনাফ থানা মামলা নং৭৫/৬৩১, তাঃ ৩০জুলাই-২০১৭ সহ মাদক ওঅস্ত্র আইন সহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত শাহ আলমের বিরুদ্ধে নিজেকে পৌর কাউন্সিলর দাবী করে হুমকি ধমকি দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, অস্ত্রবাজি,চাঁদাবাজি,জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় সহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুলাই
টেকনাফ পৌর সভার নির্বাচিত কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়ার বাড়ীতে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী কর্তৃক স্বশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তঃসত্তা মহিলাসহ ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৮ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়াডের নাইট্যংপাড়ার কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়ার বাড়ীতে এ হামলা ঘটে। খবর পয়ে পুলিশের এসআই জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে কাউন্সিলর কহিনূরের স্বামী ইয়াবা শাহ আলমের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধদল কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়ার বাড়ীতে স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এতে নাইট্যং পাড়ার কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়া, ভাই জাহেদ আলম, তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী তসলিমা আক্তার, বৃদ্ধ পিতা হাজী সোনা মিয়া, গর্ভবর্তী বোন জেসমিন আক্তার, মোঃ আলমের স্ত্রী নাসিমা আক্তার, মোঃ শফির ছেলে মোঃ রফিক, আহমদ হোছন, আবদুল করিমের ছেলে আবদুল হামিদ, মোঃ হোছন আহত হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জাহিদ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার থেকে চমেক হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। ইতিপূর্বে ও তার নেতৃত্বে নাইট্যং পাড়ার নেজাম, হামিদ, জাহাঙ্গীর ও আনোয়ারের বসতবাড়ী ও পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটলেও কেউ আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পায়নি।
কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়া জানান, কাউন্সিলর কহিনুরের স্বামী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আলমের সাথে আমার নামের মিল থাকায় যত্রতত্র আমার পদবী ব্যবহার করে মাদক ইয়াবা পাচার করলে আমি মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে শাহ আলম বাড়ীতে এসে নাম ধরে ডাক দিলে গেইট খুলে দিই। পূর্বে থেকে অস্ত্র শ্বস্ত্রে নিয়ে ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমি ও পরিবারের সদস্যদের উপর দা, কিরিচ, লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। এ ব্যাপারে শনিবার কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়া বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ৮ জনকে এজহার ভূক্ত ও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এজাহার দায়ের করেন।
একইদিন ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কাউন্টার স্বরুপ মহিলা কাউন্সিলর কহিনুরের দেবর পরিচয়দানকারী আবদুল মতলবের ছেলে মোঃ ইউনুছ (৩৮) বাদী হয়ে অপর একটি এজাহার দায়ের করেছে। কুহিনুর আক্তােরের মতে আমার স্বামীকে এ ঘটনায় জড়িয়ে একটি মহল বিভ্রান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনাটি শুনে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...