রাঙামাটিতে উদ্ধারকৃত ২১ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনের কয়েকদিন পর মরদেহের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় বলে গতকাল শুক্রবার পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানান,নিহত তরুণীর প্রকৃত নাম জেসমিন আক্তার (২১)। সে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক ইউনিয়নের বাসিন্দা নূর মোহাম্মেদের মেয়ে। নিহত জেসমিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জেসমিন তার প্রেমিক ১১ পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ কলাম
এহছানুল রাহেদের সাথে প্রেমের সম্পর্কের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। জেসমিনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এর কিছুদিন পর রাঙামাটির একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের দু’জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর চলতি বছরের ১৬ আগস্ট জেসমিনের প্রেমিক রাহেদ তার পাঁচ-ছয়জন বন্ধু নিয়ে জেসমিনকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর জেসমিনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে,জেসমিনের পরিবার গত ২২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রাঙামাটিতে অজ্ঞাতনামা তরুণীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে রাঙামাটিতে ছুটে এসে কোতয়ালী থানায় যোগাযোগ করে জেসমিনের কাপড়সহ বিভিন্ন আলামত দেখে তারা নিশ্চিত করে এটি তাদের মেয়ে।
এ হত্যাকাণ্ডে নিহত জেসমিনের পিতা নূর মোহাম্মদ প্রেমিক এহছানুল নেওয়াজ রাহেদকে প্রধান ও স্থানীয় যুবক আব্দুল মান্নান, মো: সাহিদকে আসামি করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী থানার এসআই লিমন বোস জানান, জেসমিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। শোকাহত জেসমিনের পরিবারের দাবি, জেসমিনকে তার প্রেমিক রাহেদ হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
উল্লেখ্য গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাঙামাটির ঝগড়াবিল মৌজার ডিয়ার পার্ক এলাকার ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করে পুলিশ।