ফরিদুল মোস্তফা খান,কক্সবাজার থেকে::
কারান্তরীন এমপি বদির সম্রাজ্যে অসহায় হয়ে পড়ছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। আপিলে তিনি হেরে গেলে সংসদ সদস্য পদ যাবে যেমন ঠিক একইভাবে আসনটিও আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হবে । তাই বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তি বদি যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তার চেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ফলে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় হাই কমান্ডের এখনই ভাবা উচিত, আসলেই সেখানে হচ্ছেটা কি (?) । নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কেবল এমপি বদির বিরুদ্ধে এতই আলোচনা – সমালোচনা কেন (?)।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রয়াত দানবির মরহুম এজাহার মিয়া কোম্পনির পুত্র আবদুর রহমান বদির জনপ্রিয়তায় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার নিজের জন্য। স্থানীয় জেলা ও উপজেলা আওয়ামীগীদের র্শীষ অনেকেই চাননা বদি রাজনীতিতে থাকুক। কেননা পিতা ও নিজের দান আর অনুদানসহ মানবিক নানান গুণে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তার বদি রাজনীতিতে থাকলে সেখানে অন্য কারো এমপি হওয়ার সুযোগ নেই। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রশ্নইতো ওঠেনা। এই কারণে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই হতভাগা এমপি বদির বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের চেয়ে নিজ দলের সুযোগ সন্ধানীদের ষড়যন্ত্র হয়েছে বেশি। হয়েছেন একের পর এক সংবাদ শিরোনাম। নেত্রীও দলীয় হাই কমান্ডের কাছে তার দূনার্ম পৌছাতে প্রতিপক্ষরা খরচ করেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। দুদুকের মামলায় তার সাজাও কারাগারে প্রেরণের পর উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপে জানাগেছে, জীবনে যিনি একটি বিড়ি সিগারেট ও খাননি, সেই এমপি বদি মাদক, দূর্নীতি ও মানব পাচারে জড়িত তা- তারা মানতে নারাজ। টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন প্রবীণ নেতা ও মুক্তি যোদ্ধা জানান, সবই বদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। তার মরহুম পিতা সহ পরিবারের সকলেই বৈধ ব্যবসায়ি। সরকার ও এমপির জনপ্রিয়তায় ঈষর্্ানিত শত্ররাই এই কাজে জড়িত।