রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বাণিজ্যিক ভবনে লাগা আগুনে মারা যায় উখিয়ার বাসিন্দা কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহজালাল উদ্দিনের পরিবারে চলছে শোকের মাতাম। এদিকে ছেলে-বউ-নাতনিকে হারিয়ে দিশাহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা। পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামের বাসিন্দারা।
রোববার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জানাজার পর কবরে শায়িত করা হবে নিহতদের। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- ইন্সপেক্টর শাহজালাল উদ্দিন(৩৫), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী (২৪) এবং তাদের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলা (৪)। তিনি নারায়ণগঞ্জ পানগাঁও কাস্টম হাউসের কাস্টম অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই হেলাল মোরশেদ সোহাগ বলেন, মেজ ভাই শাহজালাল, ভাবী ও ভাতিজি ৩ দিনের অফিসের ছুটি নিয়ে স্বপরিবারে খাগড়াছড়ি-সাজেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। রাতে ১১টায় গ্রীন লাইন সার্ভিসযোগে রওনা দেবে। গাড়ির টিকিট কনফার্ম করে রাতে ডিনার করতে কাচ্চি ভাইয়ে যান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেখানে তারা এ দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েন। তিনি আরও জানান, নিহত ভাবীর বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন হেলালী গত শুক্রবার মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহ গ্রামে পৌঁছেছে।
নিহতের বোন তসলিমা আকতার বলেন, ভাইদের মধ্যে অনেকটা বাবার ভূমিকা পালন করতেন মেজ ভাই শাহজালাল। প্রতিনিয়ত ফোন করে খোঁজ-খবর নিতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ফোন করে কিছু লাগবে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। এখন ভাই আর নেই।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে প্রথমে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা হেলালী ও মেয়ে ফায়রুজ কাশেম জামিরকে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে শাহজালালের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
পাঠকের মতামত