প্রকাশিত: ০৫/০৩/২০১৭ ১১:৩৫ এএম , আপডেট: ০৫/০৩/২০১৭ ১:৫১ পিএম

এস.আজাদ,চীপ রিপোর্টার,উখিয়া নিউজ ডটকম::
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের দ্বার আরো একধাপ উম্মোচন করতে আগামী ১০ মার্চ ঘুমধুম সফরে আসছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন। ওইদিন সকাল সাড়ে আটটায় কক্সবাজার থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়ে প্রথম মন্ত্রী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে সরকারি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের চাকঢালায় সীমান্ত হার্ট, ঘুমধুমে স্থল বন্দর এর জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন। এরপর কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জায়গাও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে মন্ত্রীর। পরবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি পরিদর্শন করে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। পরে উখিয়া-টেকনাফের কিছু কর্মসূচিতে অংশ করবেন। ইতিমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রীর ঘুমধুম ইউনিয়নে আগমন সফল করার লক্ষ্য মন্ত্রীর সফর সুচীর স্থান সমুহ পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল।
সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় চার লাখ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের প্রয়োজন মাফিক আমদানী-রপ্তানির নতুন এক দিগন্ত উম্মোচিত হবে। ঘুমধুমে স্থল বন্দর ও চাকঢালায় সীমান্ত হাট নির্মাণে কাজ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থল বন্দর নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। বান্দরবানে স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গুরুত্ব পায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম। ঘুমধুমে স্থল বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। যাহা ঘুমধুম ইউনিয়নবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল। কারণ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পয়েন্ট যেহেতু ঘুমধুম তাই স্থলবন্দর ঘুমধুমে হওয়াটা শতভাগ যৌক্তিক বলে মনে করেন এখানকার সাধারণ মানুষ। তাই স্থল বন্দর ঘুমধুমে স্থাপন করার জন্য ঘুমধুমবাসি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন- প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ইতিমধ্যেই ঘুমধুম এবং চাকঢালা পয়েন্ট পরিদর্শন করেছি। ঘুমধুমের স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে! তবে চাকঢালাতে সীমান্ত হাট নির্মিত হবে। এছাড়াও সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খাঁন নিজেই সম্ভাব্য স্থান গুলো পরিদর্শনে আসছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন- পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় স্থল বন্দর নির্মাণের জন্য ঘুমধুম’ই উপযুক্ত স্থান। এটি স্থাপিত হলে পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়িসহ উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ উপকৃত হবে। যেটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল।

পাঠকের মতামত

সাংবাদিক জসিম আজাদের বসতভিটা দখলের ঘটনায় বাবু সহ ৩ জন কারাগারে

কক্সবাজারের উখিয়ায় সাংবাদিকের বসতভিটা দখলের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে পরিচিত মাহফুজ উদ্দিন বাবু ও তাঁর দুই সহযোগীকে ...

বাঁচানো গেল না শিশু আয়মানকেও

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন শিশু আয়মান ...

চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আয়োজক কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনা এবং বিশৃঙ্খলা মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের নির্বাচিত আটটি ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের প্রোমোশন পরিকল্পনার ...